তেল অবরোধ আরোপের কোনো সম্ভাবনা নেই : সৌদি

নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে তুরস্কে নিজেদের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক চাপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

তবে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে ‘দায়িত্বশীল আচরণের’ প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এমনকি চাপ এড়াতে ১৯৭৩ সালের মতো নতুন করে ‘তেল অবরোধ’ আরোপের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে দেশটি। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস ও অয়েলপ্রাইসডটকম।

সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ। এক সাক্ষাত্কারে সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেন, শীর্ষ রফতানিকারক হিসেবে জ্বালানি তেলের বাজারে সৌদি আরব বরাবরই দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। জ্বালানি পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখেছে। এ আচরণ থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। আগামী দিনগুলোতেও জ্বালানি তেলের বাজারে একই রকম দায়িত্বশীল আচরণ করবে দেশটি।

প্রিন্স সালমান
প্রিন্স সালমান

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে তেল অবরোধ আরোপ করা হয়েছিল। বর্তমানের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট তখনকার মতো নয়। তাই নতুন করে তেল অবরোধ আরোপের সম্ভাবনা শূন্যের কোটায়। ফলে সাম্প্রতিক সংকটকে কেন্দ্র করে জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়া নিয়ে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়লে তা বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি কিংবা মন্দার কারণে হতে পারে, সৌদি আরবের একার কারণে নয়।

এ বিষয়ে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জ্বালানি-বিষয়ক প্রধান বিশ্লেষক পিটার কিরনান বলেন, খাসোগি ইস্যুতে সৌদি প্রশাসনের ধোঁয়াশাপূর্ণ অবস্থানে বিশ্বজনমত দেশটির বিরুদ্ধে গেছে। এখন সৌদি সরকার খাসোগি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। ফলে সৌদি আরবের (বিশেষত সৌদি তেল খাতের) বিরুদ্ধে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এটা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের অনিশ্চয়তা অনেকটাই দূর করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *