রপ্তানি আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
দেশের রপ্তানি আয়ে চমক জাগানিয়া প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। রপ্তানি আয়ের এই প্রবৃদ্ধি একটি রেকর্ড। এর আগে কখনো এক মাসে রপ্তানিতে এতো বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রকাশিত ইপিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ৩১৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২০৩ কোটি ৪১ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য।
সেপ্টেম্বর মাসের রপ্তানি আয় ওই মাসের কৌশলগত রপ্তানি আয়কেও ছাড়িয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কোরবানি ঈদের ছুটির প্রভাবে অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক কম রপ্তানি হয়েছিল। এ কারণে এবারের সেপ্টেম্বর মাসের আয়ে এতবড় উল্লম্ফন দেখাচ্ছে।
ইপিবির রিপোর্ট অনুসারে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক তথা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ৯৯৪ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি; লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৯৩৩ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৮৬৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার।
জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৮১৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ দশমিক ৪০ শতাংশ। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশের মতো।
আলোচিত সময়ে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৪২০ কোটি ৬৮ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
আলোচিত সময়ে স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বাকি প্রায় সব খাতে আয় কমেছে আলোচিত তিন মাসে। এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ; হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় কমেছে কমেছে ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।