কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে

রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় দুই মাস ধরে ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের কেজি গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় নেমে আসে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আবারও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজার ভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম)। আর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ৩০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ১২০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে ৫০ টাকার নিচে নেমে আসে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় মরিচের দাম আবারও বেড়ে গেছে। কারণ বৃষ্টিতে অনেকের ক্ষেতের মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে যে কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, আজ তা ৭০ টাকা। বাজারে হঠাৎ মরিচের সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে, যে কারণে এমন দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষেতের মরিচ নষ্ট হওয়ায় এমনটা হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি বা বন্যা না হলে মরিচের দাম কয়েকদিনের মধ্যে কমে যাবে।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. হাছান বলেন, গত সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম মরিচ বিক্রি করেছি ১০ টাকা। আর এখন বিক্রি করছি ২০ টাকায়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিক্রি করেছি ১৫ টাকা পোয়া। আজ (শুক্রবার) সকালে আড়তে গিয়ে দেখি মরিচের দাম আরও বেড়ে গেছে। আড়ত থেকে বেশি দামে কিনে আনায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদের প্রভাবে কমে যাওয়া বয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সাদা বয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে, যা ঈদের আগে ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

খিলগাঁওয়ের মুরগি ব্যবসায়ী জাবেদ বলেন, কোরবানি ঈদের আগে বয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০ টাকার উপরে। কিন্তু কোরবানির মাংসের প্রভাবে ঈদের পর থেকেই বয়লার মুরগির দাম কমে ১২০ টাকায় চলে আসে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ দামে বয়লার মুরগি বিক্রি করছি।

বয়লার মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির। তবে শীতকালীন সবজি শিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।

বাজারের আরেক দামি সবজি পাকা টমেটোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো বাজার ভেদে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। গাজরও আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি।

ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। পাতাকপির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো এ সবজি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।

এ ছাড়া গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, করলা, বরবটি, কাকরোল, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স ও লাউ। বাজার ভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা কেজি। উচ্ছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। বরবটি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। পেঁপে আগের মতো ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে করলা। ঢেঁড়শ পাওয়া যাচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজির মধ্যে।

এদিকে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *