গ্যালাক্সি নোট ৯ এর বাজিমাত
স্যামসাংয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ফোন গ্যালাক্সি নোট ৯ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাজারে আসার আগেই ফোনটি কেনার জন্য অনেকেই প্রি-অর্ডার করেছিলেন।
সম্প্রতি মোবাইল ফোন ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান এক্সেল টেলিকম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রি-অর্ডারকৃত গ্রাহকদের হাতে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯ তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল দেশের সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের স্যামসাং ব্র্যান্ড শপে। অনুষ্ঠানে স্যামসাং বাংলাদেশ এবং এক্সেল টেলিকমের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সেল টেলিকম বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ অব কোম্পানিজ লাবিব গ্রুপ-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এক্সেল টেলিকমের অপারেশন পরিচালক মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মনছুর ভূঞা বলেন, গ্যালাক্সি নোট ৯ এ যাবৎ কালে বিশ্বের সর্বোত্তম প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নোট। এটি বাজারে আসতে না আসতেই ক্রেতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিমাণে অর্ডার পেয়েছি।
তিনি জানান, বাংলাদেশে গত বছরে গ্যালাক্সি নোট ৮ এর প্রায় ১৫০ শতাংশের বেশি গ্যালাক্সি নোট ৯ প্রি-অর্ডার হয়েছে৷
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯ এ আছে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি। এতে ফাস্ট ওয়্যারলেস চার্জিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট থাকায় হাই স্পিডে ডাটা ট্রান্সফার করা যাবে। ৬ জিবি র্যামের এই ফোনটিতে রয়েছে ৫১২ জিবির বিল্ট-ইন মেমোরি। বিশেষ ফিচার হিসেবে আছে ইন্টিলিজেন্ট স্ক্যানার, নতুন স্টেরিও স্পিকার এবং অ্যাপ পেয়ারিংয়ের সুবিধা।
নোট ৯ এ ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৪ ইঞ্চির ইনফিনিটি ডিসপ্লে। এস পেন এর ফলে মাল্টিমিডিয়া অ্যাপস ব্যবহার করা যাবে সহজে। আগের নোট সিরিজের ফোনগুলোতে এস পেন দিয়ে খুব কাছে থেকে ফোনটাকে নিয়ন্ত্রণ করা লাগতো। নতুন ফোনে অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অর্থাৎ ফোনটা যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, এস পেন প্রেস অ্যান্ড হোল্ড করে রাখলেই ফোনের ক্যামেরা অন হয়ে যাবে।
অনেক সময় সেলফি তোলার সময় ক্যামেরার বাটনটা প্রেস করা অনেক কঠিন হয়, কিন্তু এখন এস পেন সিঙ্গেল ক্লিক করেই ছবি ক্যাপচার করা যাবে। মোবাইলটির এস পেনও থাকছে আইপি ৬৮। ফলে যখন যেভাবে ইচ্ছে ফোন ব্যবহার করা যাবে।
স্যামসাংয়ের নতুন এই ফোনে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করবে। ফোনটিতে এক্সট্রিম লেভেলের গেমিং এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে। গ্যালাক্সি নোট নাইট ফ্লাগশিপ ডিভাইসটির বাজারমূল্য ৯৪ হাজার ৯০০ টাকা।