গ্যাংটক ভ্রমণ

অনন্য সৌন্দর্যের আঁধার ভারতের পর্যটন রাজ্য সিকিম। স্বপ্নের দেশের মতো সুন্দর এ রাজ্য ঘুরে দেখতে হাজার পর্যটক হানা দেয় এখানে। কিন্তু অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। প্রথম পর্বে সিকিম আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেও, এই পর্ব সাজানো হয়েছে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে-
* ফুলবাড়ি বর্ডারে ভারতীয় সময় বিকেল ৫ টার মধ্যে পৌঁছাতে পারলে ইমিগ্রেশন শেষ করে দেশে ঢুকতে পারবেন। যদি কোনো কারণবশত না হয়, তাহলে শিলিগুড়ি এসএনটি স্ট্যান্ডের পেছনে ভালো কিছু হোটেল আছে, সেখানে রাত কাটাতে পারেন।

* শিলিগুড়িতে খুব সাবধানে থাকতে হবে, কারণ সেখানকার মানুষগুলো প্রচণ্ড রকমের খারাপ!

* শিলিগুড়ি হোটেলে ওঠার আগে রুমে সকল সুযোগ সুবিধা জেনে নেবেন।

* গ্যাংটক শহরের আওতায় সকল জায়গায় প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ, অন্যথায় ৫০০ রুপি জরিমানা। এছাড়া ময়লা ফেললে ৫,০০০ রুপি জরিমানা। শুধু তাই নয়, ৫ বছরের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।

* গ্যাংটকে যে এজেন্সিতেই যান সব তথ্য জিজ্ঞেস করে নেবেন।

গ্যাংটক
* গ্যাংটক থেকে সাঙ্গু লেক গেলে ৬ জনের জন্য টয়োটা ইনোভা গাড়িতে ৫,০০০ রুপি খরচ হবে।

* গ্যাংটক শহরে কয়েকটা মুসলিম হোটেল আছে। এরমধ্যে দু’হোটেলের খাবারের মান বেশ ভালো- খান (এমজি মার্ট এর নিচেই অবস্থিত) ও আসলাম বিরানি (এটা নতুন তবে এটা জান্নাত হোটেলের ঠিক উল্টো দিকের গলির একটু ভেতরে)।

* সিম আগের থাকলে ভালো, নতুন নিলে শিলিগুড়ি বা অন্য কোথাও থেকে নিতে হবে। অন্যথায় সিকিম রাজ্যের আওতায় সিম বাংলাদেশিদের নিতে দেয় না, দিলেও একটু কষ্ট হয়।

* সিকিম যাওয়ার অনুমতির জন্য পাসপোর্ট ও ভিসার ১০ কপি ও ১০ টা পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা ছবি প্রয়োজন হবে। কম-বেশি সাইট ভিজিটের ওপর ডিপেন্ড করে।

* র‍্যাংপোতে অনুমতি নিতে কোনো টাকা লাগে না। পাসপোর্ট, পাসপোর্টের কপি, ভিসার কপি ও এক কপি ছবি নিয়ে গেলে সেগুলো রেখে পাসপোর্টে একটা সিল দিয়ে দেয় ও একটা কাগজে গ্রুপে যে কয়জন থাকে সে কয়জনের নাম লিখে একটা পারমিট পেপার দিয়ে দেয়।

* পারমিট পেপারের ১০ টা ফটোকপি র‍্যাংপোতে এর অফিসের ঠিক উল্টা পাশ থেকে করে নিবেন। মেইন কপি রেখে দিবেন। ফটোকপি দিয়ে সব জায়গায় কাজ করে নেবেন।

* ফটোকপি দিয়েই গ্যাংটকের সকল হোটেল ও এজেন্সির কাছে রুম ও গাড়ি বুকিং নিতে হবে।

* ফেরার দিন আবার র‍্যাংপোতে এসে মূল পেপার জমা দিয়ে দিবেন ও প্রত্যেকের পাসপোর্টে ডিপার্চার ডেট লিখিয়ে নিয়ে যাবেন।

* নর্থ সিকিম তথা ইয়ামথাং-এর ওদিকে যাওয়ার সময় Toon station 4000ft উপরে পুলিশের পারমিশন পেপার দেখাতে হয়, সেটা ড্রাইভার বা এজেন্সি নিজে করিয়ে দিবে।

* নর্থ সিকিমে শুধু মাত্র পানির বোতল ছাড়া অন্য যে কোনো পাণীয় বোতলের অনুমতি প্রদান করে। পরিবেশের ক্ষতি হয় কোনো ময়লা আবর্জনা অন্যথায় না ফেলে যথাস্থানে ফেলুন। শুধু সিকিমেই নয়, পৃথিবীর সকল জায়গায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *