২৮৮ মিলিয়ন ডলার মুনাফা এমিরেটসের
২০১৯-২০ অর্থবছরে (এপ্রিল ১৯ থেকে মার্চ ২০) এমিরেটস এয়ারলাইন্স ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন করেছে, গত বছরের তুলনায় যা ২১ শতাংশ বেশি। তবে এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ডানাটা ও তাদের সাবসিডিয়ারিগুলোর সমন্বয় গঠিত এমিরেটস গ্রুপ মুনাফা করেছে ৪৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
রোববার (১০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে এমিরেটস বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার দুবাইয়ে এমিরেটস গ্রুপের ২০১৯-২০ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রুপটি এ নিয়ে টানা ৩২ বছর মুনাফা করেছে। তবে অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে বন্ধ এবং চতুর্থ কোয়ার্টারে করোনা মহামারির ফলে উড্ডয়ন ও ভ্রমনের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্রুপের রাজস্ব আয় ৫ শতাংশ কমেছে। পরিবহন রাজস্ব আয়ে এমিরেটসের কার্গো পরিবহন শাখার অবদান ছিল ১৩ শতাংশ। বছর শেষে এয়ারলাইন্সের নগদ সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদনের বিষয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিন সাইদ আল মাকতুম বলেন, ২০১৯-২০ সালের প্রথম ১১ মাস আমরা লক্ষ্য অনুযায়ীই এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির করোনার কারণে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিম্নগতি পরিলক্ষিত হতে শুরু করে।
করোনা মহামারি কোম্পানির ২০২০-২১ আর্থিক ফলাফলে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি ভবিষৎবাণী করে বলেন, আমরা ধারণা করছি ভ্রমণ চাহিদা মোটামুটি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ১৮ মাস সময় লাগবে।
আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের তুলনায় মুনাফা বৃদ্ধি পেলেও এমিরেটস এয়ারলাইনের যাত্রী ও কার্গো ক্যাপাসিটি কমেছে ৮ শতাংশ। এর মূলেও রয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা এবং করোনার কারণে নিষেধাজ্ঞা। এই অর্থবছরে এমিরেটস ৫ কোটি ৬২ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে, যা আগের বছরেরে তুলনায় ৪ শতাংশ কম।
প্রতিবেদনে এমিরেটস জানায়, এমিরেটস গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত ১২০টির আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে গ্রুপের ১৬০টি প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩০ জন কর্মরত আছেন।