নেইমার জাদু: কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি
প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ থেকে ১-২ গোলে হেরে ফিরেছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফলে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের টিকিট পেতে, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে অন্তত দুই গোল করতেই হতো টমাস টুখেলের শিষ্যদের।
এমন সমীকরণের ম্যাচে আবার শুরুর একাদশে নেই দলের অন্যতম সেরা তারকা কাইলিয়ান এমবাপে। ফলে নিজেদের ফরমেশনটা ৪-২-২-২ করে সাজালেন পিএসজি কোচ টুখেল। যেখানে আক্রমণের প্রাণভোমরা ছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র।
কোচের আস্থার শতভাগ প্রতিদানই দিয়েছেন নেইমার। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। ফলে দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পেয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
করোনাভাইরাসের শঙ্কায় পিএসজির ঘরের মাঠের ম্যাচটি ছিলো ‘ক্লোজ ডোর’ অর্থাৎ দর্শকশূন্য। ফাঁকা গ্যালারির সামনেই ফুটবলীয় নৈপুণ্যের প্রদর্শনী করেছেন নেইমার, ডি মারিয়ারা। যার ফল ম্যাচের ২৮ মিনিটে পায় পিএসজি। ডি মারিয়ার ক্রস থেকে ডাইভিং হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন নেইমার।
ম্যাচের স্কোরলাইন তখন ১-০ এবং দুই লেগ মিলে সমতা ২-২। তবে বরুশিয়ার মাঠে এক গোল করার সুবাদে অ্যাওয়ে গোলের ভিত্তিতে কার্যত এগিয়ে ছিলো পিএসজিই। ম্যাচে আর কোনো গোল হজম না করলেই কাজ হয়ে যেত তাদের।
তবু পুরোপুরি নিশ্চয়তা দরকার ছিলো টুখেলের শিষ্যদের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পাবলো সারাভিয়া দূরের পোস্টের দিকে বল বাড়িয়ে দিলে আলতো টোকায় সেটি জালে প্রবেশ করান হুয়ান বার্নাট। যার সুবাদে নিশ্চিত হয়ে যায় পিএসজির শেষ আটের টিকিট।
ম্যাচের একদম শেষদিকে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বরুশিয়ার তারকা খেলোয়াড় এমরে কান। পেছন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এক ফাউল করেন নেইমারকে। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখানোর আগেই আবার বিবাদেও জড়িয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় দুই পক্ষের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়।
রেফারিদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এমরে কানকে দেখানো হয় লাল কার্ড। এছাড়া পিএসজির নেইমার, মার্কিনোস এবং ডি মারিয়া দেখেন হলুদ কার্ড।