রাখাইনে সেনাবাহিনীর হামলায় ৫ রোহিঙ্গা নিহত

মিয়ানমারের রাখাইনপ্রদেশে দেশটির সামরিক বাহিনীর হামলায় এক শিশুসহ অন্তত পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

হেগের আন্তর্জাতিক আদালত গত জানুয়ারিতে মিয়ানমার সরকারকে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে বললেও দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর তোয়াক্কা না করে রোহিঙ্গা নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে রোববার স্থানীয় এক সংসদ সদস্য এবং দুই অধিবাসী একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর স্ট্রেট টাইমস ও রয়টার্সের।

রাখাইনের বৌদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা এবং আঞ্চলিক এমপি তুন থার সেইন বলেন, শনিবার রাখাইনের এমরাউক ইউ শহরের ঐতিহাসিক একটি মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা।

ওই হামলার পর সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বেসামরিক লোকজন হতাহতের ঘটনায় দেশটির সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা।

আরাকান আর্মির ওই মুখপাত্র বলেন, রাখাইনের বু তা লোন গ্রামে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গোলা আঘাত হেনেছে।

স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকর্মী ও এক গ্রামবাসী বলেছেন, ১২ বছরের এক শিশুসহ নিপীড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের কমপক্ষে পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেনি।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে নতুন করে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।

জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, গণহত্যার উদ্দেশ্যে ওই অভিযান চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই সময় রোহিঙ্গা নারী, শিশু, তরুণীদের ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যার পাশাপাশি তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *