৩০ বছরেও এমন লজ্জায় পড়েনি ভারত

টানা ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি জিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর আত্মবিশ্বাসে যেন টগবগ করে ফুটছিল ভারতীয়রা। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস উবে যেতে সময় লাগেনি। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে উল্টো হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিকদের কাছে।

আজ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ২৯৬ রানের বড় ইনিংস খেলেও বিরাট কোহলিরা হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি তারা।

এই পরাজয়ের সঙ্গে গত ৩০ বছরে না পাওয়া একটি লজ্জারই মুখোমুখি হয়েছে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। তিন দশকেরও বেশি সময় পর এই প্রথম তিন বা তার বেশি ম্যাচের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত।

বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণসব মাইলফলক স্থাপণ করেছে ফেলেছে। বিরাটের নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়ার ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ না থাকলেও এবার সেই কোহলির অধিনায়কত্বেই লজ্জার নজির গড়ে ফেলল ভারত।

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নিয়ে তিনবার তিন বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হল ভারত। আগের দু’বারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল ভারতীয়দের। শেষবার ১৯৮৯ সালে ক্যারিবিয়ানদের কাছে ক্লিন স্যুইপ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এবার ৩১ বছর পর আবার লজ্জার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো বিরাট কোহলিরা।

১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল ভারত। তার আগে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের কাছে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো ৩-০ ব্যবধানে। যদিও ১ বা ২ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ইতিহাস রয়েছে একাধিক।

১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। তবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি প্রথমে পরিত্যক্ত হয়। পরে রিজার্ভ ডেতে ম্যাচটি পূনরায় খেলা হলে ভারত পরাজিত হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি সিরিজের একটি ম্যাচ বাজে আবহাওয়ার কারণে ভেস্তে যাওয়ায় হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রেহাই পেয়েছিল ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *