৭৭% নগদ লভ্যাংশ দেবে সিঙ্গার

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া পর্ষদ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৩ মে সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশান ১-এ অবস্থিত স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ মার্চ। গতকাল অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির ২৪৩তম পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সদ্যসমাপ্ত হিসাব বছরে সিঙ্গার বিডির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা। এ হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ২ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ২৩ টাকা ১৮ পয়সা।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে বছর প্রকৌশল খাতের বহুজাতিক কোম্পানিটি বিক্রি ও মুনাফায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। ২০১৮ হিসাব বছরে ২৪ শতাংশ বিক্রয় প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বাড়ে ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয় কম্পিউটার বিক্রিতে, ৭০ শতাংশ। এছাড়া প্যানেল টেলিভিশনের বিক্রি ২৮ শতাংশ, ওয়াশিং মেশিন ২৪ শতাংশ, কিচেন অ্যান্ড স্মল অ্যাপ্লায়েন্সেস ২০ শতাংশ ও রেফ্রিজারেটরের বিক্রি ১৭ শতাংশ বাড়ে।

২০১৮ হিসাব বছরে সিঙ্গার বিডির বিক্রি ছিল ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। গ্রস মার্জিন দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশে। ২০১৮ হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার সিঙ্গার বিডির সর্বশেষ দর ছিল ১৭১ টাকা। সমাপনী দর ছিল ১৭০ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৫৬ টাকা ৪০ পয়সা ও ২৭৯ টাকা ৯০ পয়সা।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বিডির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালক নেদারল্যান্ডসভিত্তিক রিটেইল হোল্ডিংস বিহোল্ড বিভির হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৮ দশমিক ৪৮, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত প্রান্তিক ইপিএসের ভিত্তিতে যা ১৩ দশমিক ৩৬।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *