করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের পদক্ষেপ

চীনের উহানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম বিদেশি ভারতীয় নাগরিক প্রীতি মাহেশ্বরী। উহানে শেনজেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। প্রীতি এবং উহানে থাকা পাঁচশ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়৷ কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কোচিতে থার্মাল স্ক্রিনিং চালু করেছে। বিমানবন্দরের আশপাশের হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিমানে ঘোষণা করা হয়েছে, কেউ অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে। বিমানবন্দরে তাকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখে বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে উহানের যে বিদেশিদের ভিসা দেয়া হয়েছে, তাদের তালিকা দিতে।

চীন ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ট্র্যাভেল অ্যাডভাইসারি বা পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব প্রতিদিন রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলেই তার চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে, কীভাবে অন্যরা যাতে আক্রান্ত না হন, তা দেখতে হবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কথা বলছেন। এক কথায়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। একটি জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপও বানানো হয়েছে।

কলকাতা বিমানবন্দরের মুখপাত্র জানান, ডিজিসিএ দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে অ্যাডভাইজারি বা পরামর্শ পাঠিয়েছে। চীন বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আসা পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু বিশেষ নিয়মের কথা বলা হয়েছে সেখানে। প্রতিটি বিমানবন্দরে তা পালনও করা হচ্ছে।

চীনে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। চারজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন৷ উহান থেকে ভাইরাস এখন বেজিং ও সাংহাইতেও ছড়িয়েছে। জাপান, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও করোনা ঢুকে পড়েছে। সে জন্য এই সতর্কতা জরুরি। তবে ভারতে এখনও কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *