রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতিবাচক রায়ের আশা

রোহিঙ্গা নির্যাতন ও বিতাড়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদলত (আইসিজে) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নেওয়া উদ্যোগের ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ব্লুবেরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: হোয়াই অ্যাকাউন্টিবিলিটি’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গা নিপীড়ন বা রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার কোনো বিষয় নয়। এটি মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের জনগণের বিষয়। তবে বিষয়টি তাদের অনেক দূর তাড়া করবে।আমরা আশাবাদী, রোহিঙ্গা নিপীড়নের জবাবদিহিতায় আইসিজে এবং আইসিসিতে নেওয়া উদ্যোগের ব্যাপারে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।

আলোচনায় বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটের বিভিন্ন দিক এবং সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে জেনোসাইডের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরূদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলার অন্তবর্তী আদেশের শুনানির বিষয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর) মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় এবং জবাবদিহিতার উদ্যোগ প্রয়োজন। আইসিজের অন্তবর্তী আদেশের শুনানির ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

কানাডিয়ান হাইকমিশনার বিনোয়েট প্রিফোনটেইন বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজ) যা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা শিহরিত। বিচারকার্য সম্পন্ন হতে পাঁচ থেকে দশ বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। রায়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (ইউএন শাখা) নাহিদা সোবহান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি গবেষক মফিদুল হক এবং নেদারল্যান্ডস দূতাবাস মিশনের উপ-প্রধান জেরোইন স্টেঘস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *