গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র ক্লাবে থাকা অবস্থায় লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে ডাকা হতো ‘এমএসএন’ নামে। কিন্তু নেইমার চলে যাওয়ার পর সে অর্থে মেসি-সুয়ারেজের পাশে কাউকে পাচ্ছিলো না স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অনেক আশা জাগিয়ে দলে যোগ দিয়ে শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেননি ফ্রেঞ্চ তারকা অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। তবে সময়ের সাথে সাথে মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে গড়ে ফেলেছেন আক্রমণভাগ ‘এমএসজি’। এ তিনজনের নৈপুণ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
স্পেন, জার্মানি ও ইতালির তিন জায়ান্ট দল বার্সেলোনা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও ইন্টার মিলানকে নিয়ে গড়া ‘এফ’ গ্রুপকে ধরা হয়েছিল এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘মৃত্যুকুপ’। তিন দলই ফর্মে থাকায় এই গ্রুপে জমজমাট লড়াইয়ের আভাসই পাচ্ছিলেন ফুটবলবোদ্ধারা।
তবে লড়াইটা খুব একটা জমতে দিলো না স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলোর টিকিট। শুধু তাই নয়, গ্রুপ সেরা হওয়াও নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্নেস্ত ভালভার্দের দল।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বার্সেলোনার। জিতলে যেমন শেষ ষোলোর টিকিটের পাশাপাশি মিলবে গ্রুপ সেরার মুকুট, তেমনি হেরে গেলে ঝুলে যাবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ভাগ্য।
এমন সমীকরণের ম্যাচটি আবার ছিলো দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসির ৭০০তম ক্লাব ম্যাচ। এ ম্যাচটিকে দারুণভাবেই রাঙিয়েছেন মেসি। এক গোল ও দুই এসিস্টের মাধ্যমে দলকে এনে দিয়েছেন ৩-১ গোলের জয়। বলা বাহুল্য, মেসির দুই এসিস্টের গোল দুইটি করেছেন সুয়ারেজ ও গ্রিজম্যান।