যে কারণে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে হাইকোর্টে তলব

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পর দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে তিন মাসেও আদেশের সার্টিফাইড কপি না দেয়ায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১ ডিসেম্বর তাকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী সাখাওয়াত হোসাইন খান।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন আদালত।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী জানান, মোবাইল কোর্টে দেয়া সাজার আদেশের অনুলিপি না দেয়ায় র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

রুলে র‌্যাব সদর দফতরের ১৮ জুলাই দেয়া ৪৪০/২০১৯ নম্বর মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী সাতদিনের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসাইন খান জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে ‘মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০’ এর অধীনে ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন সারোয়ার আলম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজও এটা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপিলও করতে পারেননি মিজান মিয়া। আপিল করা আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার।

এর আগে একই বেঞ্চ মোবাইল কোর্টের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির আবেদনের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ আদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *