আইএস এর নতুন নেতা আবদুল্লা কারদাশ

মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বাগদাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে বাগদাদির মৃত্যুর পর আইএস নতুন নেতা বেছে নিয়েছে। আবদুল্লা কারদাশ সংগঠনটির প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন সেনা অভিযানে বাগদাদির মৃত্যু হলেও জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে খুব বেশি বেকায়দায় ফেলা যায়নি বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে। আইএস ইতোমধ্যেই তাদের নতুন নেতাও ঠিক করে ফেলেছে।

আবদুল্লা কারদাশকে অনেকেই কারশেশ বলে ডাকেন। হাজি আবদুল্লাহ আল-আফারি নামেও পরিচিত সে। ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের ত্রাস আইএস আর বাগদাদি ছিলেন মোস্ট ওয়ান্টেড। যুক্তরাষ্ট্র তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। অবশেষে গোপন সূত্রে ওয়াশিংটন খবর পায় উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় লুকিয়ে রয়েছে বাগদাদি। ঝড়ের গতিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অপারেশনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেন মার্কিন সেনারা।

পশ্চিম ইরাকের আল-আসাদ বিমানঘাঁটি থেকে সিরিয়ার ইদলিবের উদ্দেশে রওনা দেয় মার্কিন সেনার বিশেষ বাহিনী। অপারেশন চলে মূলত সিএইচ-৪৭ কপ্টার থেকেই। সিচুয়েশন রুমে বসে এই অভিযান লাইভ দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার দাবি, তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বাগদাদি। তাকে ধাওয়া করে মার্কিন সেনারা। বাঁচার আর পথ নেই বুঝে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় বাগদাদি। সেখানেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে এই আইএস প্রধান ও তার তিন সন্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *