ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকায় ফাইনালে ওঠার জন্য দুইটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল সাকিব আল হাসানের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের সামনে। প্রথম সুযোগে ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয়বারে ঠিকই বাজিমাত করেছে সাকিবের দল।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১২ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্বাডোজ। শনিবার রাতে শিরোপা লড়াইয়ে টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত থাকা গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবেন সাকিবরা।

ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বার্বাডোজ। জবাবে নিজেদের ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতেই ত্রিনবাগো অলআউট হয়ে যায় ১৪৮ রানে, বার্বাডোজ পায় ১২ রানের জয়। ব্যাট হাতে ১৮ রান করার পর বল হাতে ২ ওভারে ২৭ রান খরচ করেন সাকিব।

এর আগে ঘরের মাঠে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ত্রিনবাগো। ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বার্বাডোজের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের কেউই। ওপেনার জনসন চার্লস ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করলেও খেলেন ৪১টি বল। ফলে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় বার্বাডোজ।

অপর ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ১০ রান করে আউট হয়ে গেলে তিন নম্বরে নামেন সাকিব। চার্লসের রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে স্লথ হয়ে আসা রানের চাকা দ্রুত ঘোরানোর চেষ্টায় ১টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। কিন্তু টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ইনিংসের নবম ওভারে বোলারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১২ বলে ১৮ রান করেন সাকিব।

এরপর জেপি ডুমিনি শুরুটা করেছিলেন আশা জাগানিয়া। কিন্তু চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৫ বলে ১০ রান করে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাই হোপ ১৮ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে গেলে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায় বার্বাডোজের।

তবু দলকে ১৬০ রানের লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয়ার কৃতিত্ব দুই বোলিং অলরাউন্ডার অ্যাশলে নার্স ও রেয়মর রেইফারের। দুজন মিলে শেষের ১৬ বলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। নার্স ১৮ বলে ২৪ ও রেইফার অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২৪ রান নিয়ে। ত্রিনবাগোর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আলি খান, খ্যারি পিয়েরে এবং ক্রিস জর্ডান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *