ভোট চুরি করে সেরা মেসি
ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার নিয়ে দারুণ কেলেঙ্কারির জন্ম দিলো ফিফা! ভোট চুরি করেই নাকি লিওনেল মেসিকে বর্ষসেরা ঘোষণা করা হয়েছে। এ অভিযোগ ওঠার পর অবশ্য একে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা।
ফিফা বর্ষসেরা নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার সদস্য দেশগুলোর অধিনায়ক এবং কোচদের। এছাড়া ফিফা নির্ধারিত কিছু সাংবাদিকও ভোটাভুটির এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। সে হিসেবে ভোট দিয়েছিলেন নিকারাগুয়ার অধিনায়ক এবং কোচও।
কিন্তু ভোটাভুটি শেষ, ফল ঘোষণাও শেষ। এরপর কে কাকে ভোট দিয়েছে মর্মে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে নিকারাগুয়ার অধিনায়ক যাকে ভোট দিয়েছেন, সেটা আমূল বদলে দেয়া হয়েছে। পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে মেসির নামে। অথচ তিনি মেসিকে ভোটই দেননি।
নিকারাগুয়ার দলের অধিনায়ক হুয়ান বারেরা বলেন, ‘আমি মেসিকে ভোট দেইনি। কিন্তু যারা মেসিকে ভোট দিয়েছেন, সেই অধিনায়কের লিস্টে আমার নাম দেখে অবাক হলাম। জানি না কীভাবে এটা সেখানে গেল।’
সুদান জাতীয় দলের কোচ ড্রাভকো লোগারুসিচের ভোটও পাল্টে দেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ফিফা বর্ষসেরার এ পুরস্কারে প্রথম পছন্দ হিসেবে ভোট দিয়েছিলেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে। কিন্তু সুদান কোচ পরে জানতে পারেন, তার ভোটটা পড়েছে মেসির বাক্সে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভোটের ফরমের ছবিও প্রকাশ করেছেন এ কোচ।
মিসর ফুটবল অ্যাসোয়িয়েশনের পক্ষ থেকেও এসেছে একই অভিযোগ। তারা জানিয়েছেন, মিসরের কোচ সাকি ঘারিব আর অধিনায়ক আহমেদ এল-মোহাম্মাদি দুজনই প্রথম ভোট দিয়েছেন স্বদেশি তারকা মোহাম্মদ সালাহকে, কিন্তু তাদের ভোট গণনাই করা হয়নি।
কিন্তু এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ফিফা। তারা বলছে, ভোটাভুটিতে কোনো অসচ্ছ কাজ হয়নি। ফিফার এক মুখপাত্র ইএসপিএনকে বলেন, ‘আমরা ভোটিং ডকুমেন্টসের সব কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছি। নিকারাগুয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের কোচ এবং অধিনায়কের স্বাক্ষরিত যে কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিয়েছে, সেগুলোও দেখেছি। তার সঙ্গে ফলাফলের কোনো বৈপরিত্য পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেডারেশনগুলো যে কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিয়েছে, তার সঙ্গে ফিফা ডটকমে যে তালিকা আমরা প্রকাশ করেছি- সেগুলো আবারও মিলিয়ে দেখেছি আমরা। তাতে নিশ্চিত হয়েছি, এখানে কোনো কারসাজি করা হয়নি। আমরা নিকারাগুয়া ফুটবল ফেডারেশনকে বলেছি যে, বিষয়টা তারা যেন তদন্ত করে দেখে।’
তবে নিকারাগুয়ার অধিনায়ক বেরেরা আবার টুইটারে লিখেছেন, ‘২০১৯ ফিফা দ্য বেস্ট-এ আমি কোনো ভোটই দিইনি। আমার সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ হলে, সেটা ভুল।’
বেরেরাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন তিনি মেসিকে ভোট দিলেন। এবারও অস্বীকার করেন তিনি। মিডিয়াকে তিনি বলেন, ‘আমি মেসিকে ভোটই দিইনি। মূলত গত বছর আমি ভোট দিয়েছিলাম। এবার তো দিইনি।’