কুৎসিততম পুরুষ বেছে নেওয়ার প্রতিযোগিতা

কুৎসিততম পুরুষ বেছে নেওয়ার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নাম ঘোষণা করা হয় ‘মিস্টার আগলি’র। গত চার বছর ধরে জিম্বাবুয়েতে এমনই এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজব এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীর সংখ্যা দেখলে অবাক হতে হয়। আর এখানে উপস্থিত হওয়া দর্শকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

মজার ব্যাপার হলো এই বছরের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অত্যুৎসাহী দর্শকরা ‘মিস্টার আগলি’র নাম ঘোষণার পর তা নিয়ে রীতিমত হৈচৈ শুরু করেন। গত তিন বছর এই শিরোপা জিতেছেন উইলিয়াম মাসভিনু। এই বছরও হট ফেভারিট ছিলেন তিনিই। কিন্তু শনিবার তাকে হারিয়ে এই খেতাব জিতে নেন ৪২ বছরের মিসোন সেরে। আর তাতেই বাধে গোলমাল। মাসভিনু ও তার সমর্থকরা বিচারকদের ঘিরে হাঙ্গামা শুরু করে দেন। অভিযোগ তোলেন এই খেতাব জেতার পক্ষে নাকি বড্ড বেশি ‘সুদর্শন’ সেরে।
এদিকে, উইলিয়াম মাসভিনু ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “আমিই সবচেয়ে কুৎসিত, মিসোন সেরে নয়। মুখ খুললে তবেই ওর ভাঙা দাঁতের সারির দেখা মেলে। আর তখনই ওকে কুৎসিত লাগে”। প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য মিসোন সেরে নিজেই দাঁত ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার দাবি, “এভাবে দাঁত ভেঙে প্রতিযোগিতা জেতা আসলে চিটিং।”

তবে দর্শকদের প্রতিবাদ বা মাসভিনুর মন্তব্যে কান দিতে রাজি নন বিজয়ী মিসোন সেরে। তিনি বলেন, “আমি মাসভিনুর চাইতে বেশি কুৎসিত। এই সহজ সত্যিটা এবার মাসভিনুর স্বীকার করে নেয়া উচিত।”

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হয় নগদ ৫০০ মার্কিন ডলার। শীঘ্রই কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে শো করার ডাক পেতে পারেন মিসোন সেরে। এমনটাই আশা করছেন তিনি।

২০১২ থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাড়ছে প্রতিযোগীর সংখ্যা। কিন্তু কেন এই ধরনের বেশ কদর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে এতো উৎসাহ? এর পিছনে অনেকটাই দায়ী জিম্বাবুয়ের বর্তমান আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি। বেশির ভাগ প্রতিযোগীই অত্যন্ত দরিদ্র। পুরস্কার মূল্য তাদের পক্ষে নেহাত কম নয়। জিতলে মেলে টিভি শোতে মুখ দেখানোর সুযোগও। সে দেশে এই ধরনের সুযোগ বড় একটা মেলে না। তাই প্রতি বছর নিজেকে ‘কুৎসিততম’ প্রমাণের হিড়িক বেড়েই চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *