তারেক রহমানই ক্যাসিনো সম্রাট : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ক্যাসিনো সম্রাট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘প্রতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি— লন্ডনে তারেক রহমান যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন, সেখানে ক্যাসিনো থেকেও আয় দেখানো হয়েছে। তার আয়ের একটি বড় অংশ হচ্ছে ক্যাসিনো থেকে। কারণ, ইংল্যান্ডে ক্যাসিনো থেকে আয় করলে ট্যাক্স দিতে হয় না। বিএনপি ক্যাসিনো সম্রাটকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির হাত ধরেই বাংলাদেশে ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু হয়েছে। তারা এসব সংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ্ সংযোজন করেছিলেন। আবার বিসমিল্লাহ বলে দেশে মদ-জুয়া হাউজিও চালু করেছিলেন। যাদের একটু বয়স হয়েছে, তাদের এটা মনে আছে। চলমান সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করার আগে নিজেদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকে একটু তাকান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন ধরে দেখতে পাচ্ছি— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের আশপাশে যাদের দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করেছিল তারা। মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, তাদের সহযোগী মোসাদ্দেক হোসেন ফালু এবং তাদের সহযোগীদের আশপাশে রেখে তিনি আজকের ক্যাসিনো, জুয়া খেলার যে অভিযান চলছে সেটি নিয়ে কটাক্ষ করছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আজকে রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে এবং সব ধরনের অবৈধ অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার লক্ষ্যে যে সাঁড়াশি অভিযান চলছে এটা অনন্ত প্রশংসনীয়। যারা এটিকে প্রশংসা করতে পারেন না, তারা নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই অহেতুক কটাক্ষ করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। অনেক অনুপ্রবেশকারী আমাদের দলে প্রবেশ করেছে। আবার অনেকের নৈতিক স্খলন ঘটেছে। সেই কারণে দলমত নির্বিশেষে রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করার জন্য আজকে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সারাহ বেগম কবরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।