হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল শ্রীলঙ্কা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়েও কিউইদের হারাতে পারছে না টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা দলটি। উল্টো পরপর দুই ম্যাচ জিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে নিউজিল্যান্ড।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ বল হাতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল সফরকারীরা। মঙ্গলবার রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সময় বাকি ছিল মাত্র ২ বল, উইকেটও হাতে ছিল ৪টি। লঙ্কানদের করা ১৬১ রানের জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে নিউজিল্যান্ড।

পাল্লেকেলেতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাদের শুরুটা হয়নি মন মতো। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৮ রান করতে পারা। আউট হওয়ার আগে ২টি করে চার-ছয় হাঁকিয়ে ২৪ বলে ২৬ রান করেন মেন্ডিস।

কিছু করতে পারেননি মারকুটে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। ইশ সোধির বলে লেগসাইডে খেলতে গিয়ে প্লেইড অন ১০ বলে ১১ রান করা এ ওপেনার। তবে তৃতীয় উইকেটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন আভিশকা ফার্নান্দো এবং নিরোশান ডিকভেলা। দুজন মিলে ৪৪ বলে যোগ করেন ৬৮ রান।

তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। দুজনই হাঁকান ৩টি করে চার ও ১টি করে ছয়। আভিশকা ২৫ বলে ৩৭ ও ডিকভেলা আউট হন ৩০ বলে ৩৯ রান করে। শেষদিকে শেহান জয়াসুরিয়া ১৩ বলে ২০, ইসুরু উদানা ৮ বলে ১৩ রান করলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যাওয়া ওপেনার মার্টিন গাপটিল, ব্যাটিং করতে পারেননি পুরো ইনিংসেই। তার অবর্তমানে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কিউইরা। ঝড়ো গতিতে মাত্র ৩.৪ ওভারে ৩৮ রান করে ফেললেও, সাজঘরে ফিরে যান ৩ ব্যাটসম্যান।

এরপর চতুর্থ উইকেটেই মূলত ম্যাচের ফল নিশ্চিত করে নেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং টম ব্রুস। দুজন মিলে ৮২ বলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। গ্র্যান্ডহোম ৪৬ বলে ৫৯ ও ব্রুস খেলেন ৪৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। শেষদিকে খানিক উত্তেজনা আসে ম্যাচে।

জয়ের জন্য শেষ ছয় বলে ৭ রান প্রয়োজন ছিলো কিউইদের। কিন্তু সে ওভারের প্রথম দুই বলে ব্রুস ও ড্যারেল মিচেল আউট হয়ে গেলে নাটকীয়তার সম্ভাবনা তৈরি হয় ম্যাচে। চার বলে ৭ রানের সমীকরণে স্ট্রাইক পান স্যান্টনার। মুখোমুখি প্রথম বলে ৬ ও পরের বলে ৪ মেরে নিশ্চিত করেন দলের জয়।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *