বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমে জুলাই মাসে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ হার ২০১৩ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন। ওই সমেয় ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। আগের মাস জুনে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে বেসরকারি ঋণ না বেড়ে উল্টো কমে গেছে।
ব্যাংকের তারল্য সংকট ও ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে কাঙ্ক্ষিত ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না বলে উল্লেখ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ব্যাংকগুলোর কাছে এখন পর্যাপ্ত নগদ অর্থ নেই। ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) সমন্বয়ের চাপ রয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক খাতের নানা কেলেঙ্কারি ও সঞ্চয়পত্রে সুদ বেশি হওয়ায় ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। ফলে একদিকে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
অন্যদিকে উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণ নিতেও আগ্রহী না উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বেসরকারি খাতের ঋণ হু হু করে বাড়ছিল। ফলে ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের শুরুতেই ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও নানা কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। নিম্নমুখীর ধারা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুনের তুলনায় চলতি বছরের (২০১৯) জুলাই শেষে সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর আগের মাস জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ, মে মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, মার্চে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিকে জুলাই মাস শেষে বেসরকারি খাতে বিতরণ করা ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময় শেষে ঋণ ছিল ৯ লাখ ১ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুনের তুলনায় জুলাইয়ে বেসরকারি ঋণ না বেড়ে উল্টো কমে গেছে। গত জুন মাসে ঋণস্থিতি ছিল ১০ লাখ ১০ হাজার ২৫৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ কমেছে ৭ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে জুন নাগাদ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। কিন্তু এর বিপরীতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। এর আগে প্রথমার্ধে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হলেও অর্জিত হয় মাত্র ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এদিকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে চলতি অর্থ বছরের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ মুদ্রানীতিকে কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধি সহায়ক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি বলছেন গভর্নর ফজলে কবির। নতুন মুদ্রানীতিতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত লক্ষ্য ঠিক করেছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। যা গেল অর্থ বছরের জুন পর্যন্ত লক্ষ্য ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরের (জুলাই-জুন) পর্যন্ত সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ ধরা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রক্ষেপণ ছিল সাড়ে ১৬ শতাংশ। কিন্তু গত জুন শেষে এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এটি গত অর্থ বছরের ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ কম। এখন বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাতন কমেছে। অন্যদিকে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসাবে বাড়তি টাকা জমা রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এ ছাড়া বেশি সুদে উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে চাচ্ছেন না। অবকাঠামোগত সমস্যা তো আছেই। এসব করণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কম।’
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে সাবেক এ গভর্নর বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। তাই বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত ঋণ জোগান দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’
- বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০ জনের চাকরির সুযোগ
- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৫৪ জনের চাকরি
- বিজিবিতে ২০ জনের চাকরির সুযোগ
- ১০৪ জনকে অষ্টম শ্রেণি পাসে চাকরি দেবে বিআরটিসি
- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ২৩ পদে চাকরি
- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি
- সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে ৪০৫ জনের চাকরি
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে ৬২ জনের চাকরি
- ১৫ পদে নন-ক্যাডারে চাকরি দিচ্ছে পিএসসি
- চাকরি দিচ্ছে ঢাকা বিআরটি
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি
- ১৯৬ জনকে চাকরি দেবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন
- সাবমেরিন ক্যাবলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ
- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে ২৫ জনের চাকরির সুযোগ
- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে চাকরি
- সেতু কর্তৃপক্ষে ২৭,১০০ টাকা বেতনে চাকরি
- ব্যাংক এশিয়ায় এরিয়া ইনচার্জ পদে চাকরি
- অফিসার পদে চাকরি দিচ্ছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
- বাংলাদেশ হোন্ডা লিমিটেডে চাকরি
- লাল তীর সীড লিমিটেডে চাকরির সুযোগ
- ২৫৯ জনকে চাকরি দিচ্ছে পিজিসিবি
- আবুল খায়ের গ্রুপে অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরির সুযোগ
- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে ২৭ জনের চাকরির সুযোগ
- অর্ধশতাধিক চাকরি দিচ্ছে বিএসএমএমইউ
- আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে ৯ পদে চাকরির সুযোগ
- কর কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ