যেভাবে গরুর গোসত খেলে ক্ষতি হয় না

গরুর মাংস খাওয়া কিংবা না খাওয়া নিয়ে নানা রকম মত প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন, এটি খাওয়া ক্ষতিকর তাই যতটা এড়িয়ে চলা যায়! কিন্তু এই গরুর মাংসের আছে নানা উপকারী দিক। এটি পরিমিত পরিমাণ খেলে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা সমপরিমাণ অন্য কিছু থেকে পাওয়া যায় না।

গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন থাকে। বাড়ন্ত বয়সের কিশোর ও প্রসূতি মায়েদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে গরুর মাংস খাওয়া উচিত। তবে গরুর মাংসে কোলস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরকে এ মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।

মাংস খাবেন তবে চর্বি বাদ দিয়ে। রান্নার সময় খেয়াল রাখবেন, মাংসে যেন কোনো সাদা চর্বি না থাকে। প্রয়োজনে একটু পানি দিয়ে সেদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে রান্না করলে স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ক্ষতিকর হয় না।

বিভিন্ন সবজি যেমন মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, শসা বা অন্যান্য সবজি দিয়ে গরুর মাংস রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

গরুর মাংস রান্নায় তেল কম ব্যবহার করবেন। ঘি, মাখন, ডালডা ইত্যাদি তেল জাতীয় খাবার গরুর মাংস রান্নায় ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে গরুর মাংস আপনার জন্য কতটুকু ক্ষতিকর তা নির্ভর করে আপনি কতটুকু খাচ্ছেন তার ওপর।

গরুর মাংস খাওয়া যেতে পারে চর্বি বাদ দিয়ে। তবে তা অবশ্যই অতিরিক্ত নয়। মাংস খাওয়ার সময় সংযমী হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খান।

একজন সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫ দিন গরুর মাংস খেতে পারবেন তবে এক দিনে ৬০ গ্রামের বেশি খাওয়া যাবেনা অর্থাৎ সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন।

গরুর মাংসে যাদের সমস্যা আছে তারা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। তবে মাসে দুই থেকে চারবার চর্বি ছাড়া মাংস খেতে পারবেন। তবে চিকিৎসকের নিষেধ থাকলে খাবেন না।

ডায়াবেটিস এর রোগীরা চর্বি বিহীন গরুর মাংস খেতে পারবেন। তবে সেটা হতে হবে পরিমাণ মতো, নিয়ম মাফিক। সপ্তাহে দুই থেকে এক দিন ৬০ গ্রামের বেশি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *