কোরআন পড়ে দিন কাটে এটিএম শামসুজ্জামানের

ঈদুল ফিতরের মতো এবারের ঈদুল আজহাও হাসপাতালেই কেটেছে এটিএম শামসুজ্জামানের। এই অভিনেতা গত ২৬ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে আছেন। প্রথমে কয়েক সপ্তাহ রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে থাকার পর বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আছেন নন্দিত এই অভিনেতা।

এটিএম শামসুজ্জামানের বর্তমান অবস্থা জানিয়েছেন তারই মেজো মেয়ে কোয়েল। সারাক্ষণ অভিনয় নিয়ে মেতে থাকা চঞ্চল মনের এই মানুষটি হাসপাতালে কীভাবে দিনের পর দিন পার করে চলেছেন জানা গেলো সেই বিষয়ে।

কোয়েল বললেন, ‘বাবা এখন অনেক ভালো আছেন। ঈদুল আযহার ঈদে আগে একটা অপারেশন হয়েছিলো সেটা সফল হয়েছে। ঈদের আগের দিন আইসিইউ থেকে উনাকে কেবিনে দেওয়া হয়েছে। এখন সেখানেই আছেন।’

অনেকেই জানেন, এটি এম শামসুজ্জামানের প্রচুর বই পড়ার অভ্যেস। তার বাসায় রুম ভর্তি বই আর বই। তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এই ঘরে বসেই আড্ডা দিতেন তিনি। এই ঘরে পড়তেন ও স্ক্রিপ্ট লিখতেন।

এখন হাসপাতালে কীভাবে সময় কাটে তার? কোয়েল বললেন, ‘হাসপাতালেও অনেক বই পড়েন বাবা। যখন যে বই পড়তে চান, আম্মা বাসা থেকে এনে দেন। বাবাকে যারা দেখতে আসছেন অনেকেই বই নিয়ে আসেন। সেগুলোও পড়ছেন বাবা।

সম্প্রতি বুলবুল আহমেদ চাচার স্ত্রী ডেইজি আহমেদ চাচি অনেকগুলো বই উপহার দিয়েছেন। রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার এসেছিলেন। তারাও বই উপহার দিয়েছেন বাবাকে।’

এখন কী ধরণের বই পড়ছেন? কোয়েল জানালেন, কোরআন-হাদিসের বই, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বিভিন্ন ধরণের সাহিত্যের বই পড়েন তিনি। বিক্রম শেঠ’র বই পড়েন। বিশেষ করে বিক্রম শেঠ এর ‘সৎপাত্র’ বাবার অনেক পছন্দের। আমিও মাঝে মধ্যে বই নিয়ে যাই বাবার জন্য। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন, উনি যেনো সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন।’

১৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অভিনেতার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক হাসপাতালের তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত এটিএম শামসুজ্জামানের খোঁজ খবরও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এটিএম শামসুজ্জামান অভিনয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পান রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নির্মাতাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *