সবকিছুতে ধর্ম টানবেন না

জম্মু-কাশ্মীরে চলমান সংকটময় পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ভারতের ক্রিকেট অঙ্গনেও। সোমবার ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাদ দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে গত কয়েকদিন ধরেই থমথমে অবস্থার শুরু হয় সে অঞ্চলে।

অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নির্দেশ দেয়া হয় যত দ্রুত সম্ভব উপত্যকা ছেড়ে যাওয়ার। এছাড়া শ্রীনগর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠানকেও। যিনি জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের মেন্টর হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

এ নির্দেশ পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ইরফান লিখেন, ‘আমার হৃদয় পড়ে রয়েছে কাশ্মীরে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও কাশ্মীরি ভাই-বোনদের সঙ্গেই রয়েছে আমার হৃদয় ও মন।’ এই টুইটে হ্যাশ ট্যাগ হিসেবে তিনি জুড়ে দেন #কাশ্মীর ও #কাশ্মীরআন্ডারথ্রেট।

হ্যাশট্যাগ দুটো আবার মানতে পারেননি অনেকেই। ইরফানের একজন টুইটার অনুসারী এ বার্তার মন্তব্যে সরাসরি আক্রমণ করে লিখেন, ‘বড় বড় কথা বলে শেষে #কাশ্মীরআন্ডারথ্রেট লিখে নিজের জেহাদি মানসিকতাই বুঝিয়ে দিলেন ইরফান। কাশ্মীর ইজ নট আন্ডার থ্রেট। ইট ওয়াজ আন্ডার থ্রেট। এ বারের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৫ এবং ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হবে।’

এ মন্তব্যের পর ভাইরাল হয়ে যায় ইরফানের টুইট। যেখানে ভারতের সাবেক ক্রিকেটারকে কটাক্ষ করার কারণে অন্যান্য অনুসারীরা পাল্টা আক্রমণ করেন। ছেড়ে কথা বলেননি ইরফান নিজেও। তবে নিজের অবস্থান থেকে যথাসম্ভব ভালোভাবে তিনি ওই কটাক্ষকারীকে বলেন সবকিছুর সঙ্গে ধর্ম না মেশানোর জন্য।

ইরফান লেখেন, ‘অমরনাথ যাত্রীদের চলে যেতে বলা হয়েছে এবং যাত্রা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এর অর্থই হলো, কাশ্মীরে আতঙ্কের পরিবেশ। সে কারণেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিজের নোংরা চিন্তাভাবনা বদলান। প্রতিটি কথায় ধর্মকে টেনে আনবেন না। সব কথায় প্রমাণ চাইবেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *