চাল রফতানির কমিয়েছে থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মধ্যে ধান অন্যতম। ধান থেকে উৎপাদিত চাল রফতানি করে দেশটি বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে। এ কারণে চাল আমদানিকারক দেশগুলোর জন্য থাইল্যান্ড একটি বিশ্বস্ত নাম। চলতি বছর শেষে সব মিলিয়ে ৯৫ লাখ টন চাল রফতানি করার প্রাক্কলন করেছিল দেশটি।
কিন্তু মুদ্রাবাজারে থাই বাথের (স্থানীয় মুদ্রা) তুলনামূলক শক্তিশালী অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) থাইল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। সে কারণেই চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে সরে এসে ৯০ লাখ টন চাল রফতানির প্রাক্কলন করেছে দেশটি। খবর রয়টার্স ও ব্যাংকক পোস্ট।
ভারতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ডের নতুন এই প্রাক্কলন গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। গত বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ১ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল। এই প্রাক্কলনের ফলে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আয় কমে ৪৭০ কোটি ডলার দাঁড়াবে, যা গত বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।
দেশটির চাল রফতানিকারকদের সংগঠনের সভাপতি চ্যারন লোথামাটসও মনে করেন, জানুয়ারি-জুন দেশটির চাল রফতানি কমে যাওয়ায় বছর শেষে সর্বোচ্চ রফতানি ৯০ লাখ টনে দাঁড়াবে।
থাই বাথের অবস্থান ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়ায় ভিয়েতনামের কাছে বাজার হারাতে থাকে দেশটি। চলতি মাসের প্রথম দিকে গত ছয় বছরের মধ্য শক্তিশালী অবস্থানে চলে আসে থাই বাথ।
অন্যদিকে বিশ্বে চাল আমদানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে চীন। থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানিকারকদের তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটি তাদের রফতানি গত বছরের থেকে দ্বিগুণ করেছে। চীনে চালের উদ্বৃত্ত থাকায় দেশটি আফ্রিকার বাজারে মজুদ করা পুরনো চালের রফতানি বাড়িয়েছে। ফলে এতদিন দখলে থাকা আফ্রিকার বাজারও হারিয়েছে থাইল্যান্ড।