উইলিয়ামসনকে তুলে নিলেন প্লাঙ্কেট

ক্রিস ওকসের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সপ্তম ওভারেই সাজঘরের পথ দেখতে হয়েছে মার্টিন গাপটিলকে। ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মনে হচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকবে কিউইরা। কিন্তু কেন উইলিয়ামসন আর হেনরি নিকোলসের ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড।

রান তোলার গতি যদিও কিছুটা কম। তবে ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন উইলিয়ামসন এবং নিকোলস। দুজনের ব্যাটে ২১.২ ওভারে ১০০ রানের গণ্ডিও পার হয়ে যায় কিউইরা। কিন্তু লিয়াম প্লাঙ্কেটের দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গার বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামসন।

আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা প্রথমে আউট দেননি। ইংল্যান্ড নিশ্চিত ছিল ওটা আউট। এ কারণে তারা রিভিউ নিলো এবং শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়ে বল জমা পড়েছে জস বাটলারের গ্লাভসে। ৭৪ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হলেন নিকোলস আর উইলিয়ামসন। ১০৩ রানে পড়লো কিউইদের দ্বিতীয় উইকেট।

এ রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের রান ২৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৩। ৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন হেনরি নিকোলস এবং শূন্য রানে রয়েছেন রস টেলর।

এর আগে শুরুতেই উইকেট পড়তে পারতো ক্রিস ওকসের বলে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তার বলে এলবিডব্লিউর আবেদন ওঠে এবং আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙুল তুলে দেন। হেনরি নিকোলস ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি রিভিউ চেয়ে বসলেন। তাতেই দেখা গেল বল স্ট্যাম্পের অনেক ওপর দিয়ে চলে যেতো। যে কারণে ধর্মসেনাকে স্যারেন্ডার করে আউট ফিরিয়ে নিতে হয়েছে।

কিন্তু সপ্তম ওভারে আর বাঁচতে পারলেন না। ক্রিস ওকসের বলেই ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গাপটিল। বল আঘাত করলো প্যাডে। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আল তুলে দিলেন। আবারও রিভিউ নিলেন গাপটিল। কিন্তু এবার আর রক্ষা হলো না। আউটই হয়ে যেতে হলো গাপটিলকে।

পুরো টুর্নামেন্টে বাজে পারফর্ম করা মার্টিন গাপটিলের কাছে কিউইদের প্রত্যাশা ছিল ফাইনালে অন্তত তিনি কিছু করে দেখাবেন। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ১৮ বল খেলেন ১৯ রানের ইনিংস। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি। কিন্তু বেশিদুর এগুতে পারলেন না। ১৯ রান করেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *