হারুনের জবানবন্দিতে ভয়ঙ্কর বর্ণনা

রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছর বয়সী শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি হারুন উর রশিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তার খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আসামি হারুনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মুন্সী আসলাম হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামি হারুন ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

পরে বেলা ১১টার দিকে আসামি হারুনকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয়। আদালত সূত্র জানায়, আসামি হারুন জবানবন্দিতে বলেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন মাকে বলে শিশু সায়মা নিজেদের ফ্ল্যাট থেকে ওই ভবনের অষ্টম তলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা পারভেজের শিশুকন্যার সঙ্গে খেলা করতে তাদের বাসায় যায়।

সেখানে গেলে পারভেজের স্ত্রী তাকে জানান, তার মেয়ে ঘুমাচ্ছে। পরে বাসায় ফেরার উদ্দেশে লিফটে ওঠে সায়মা। তখন লিফটেই শিশু সায়মার সঙ্গে দেখা হয় পারভেজের খালাতো ভাই হারুনের। হারুন শিশু সায়মাকে ছাদ ঘুরিয়ে দেখানোর কথা বলে ছাদে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে হারুন। তখন শিশু সায়মা চিৎকার করলে হারুন মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে।

পরে সায়মাকে নিস্তেজ দেখে গলায় রশি লাগিয়ে সে টেনে নিয়ে যায় রান্নাঘরে। সেখানে সিঙ্কের নিচে সায়মার লাশ রাখে। এরপর পারভেজের বাসায় না ফিরে হারুন গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকায় গিয়ে গা ঢাকা দেয়। এর আগে এ ঘটনায় সায়মার বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে শনিবার রাতে আসামি হারুনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *