২ কোটি টন গম রফতানি ইইউর
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় গমের ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম ৩৬০ দিনে (গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত) এসব দেশ থেকে কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত রফতানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ কমে দুই কোটি টনে নেমে এসেছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার।
গম রফতানিকারকদের শীর্ষ তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ইসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুমের প্রথম ৩৬০ দিনে ইইউভুক্ত ২৮ দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে দুই কোটি টনের কিছু বেশি গম রফতানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ কম।
চলতি বছর শেষে ইইউভুক্ত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ২ কোটি ৭০ লাখ টন গম রফতানি করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। গত বছর এসব দেশ থেকে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৪০ লাখ টন গম রফতানি হয়েছিল। তবে বছর শেষে কৃষিপণ্যটির রফতানি লক্ষ্য পূরণ নিয়ে আশঙ্কা রয়ে গেছে।
এদিকে যব উৎপাদক ও রফতানিকারকদের তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে প্রথম। ২০১৮-১৯ মৌসুমের প্রথম ৩৬০ দিনে এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪৩ লাখ টন যব রফতানি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসি। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এসব দেশ থেকে যবের সম্মিলিত রফতানি ২৩ শতাংশ কমেছে।
মৌসুমজুড়ে ইইউর যব রফতানিতে মন্দাভাব বজায় থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ইউএসডিএর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ইইউভুক্ত দেশগুলো ৬০ লাখ টন যব রফতানি করতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।