কর প্রত্যাহার না হলে দেশ অচল করার হুমকি বিড়ি শ্রমিকদের

বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে বর্ধিত কর প্রত্যাহার ও বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে ঢাকাসহ সারাদেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙালির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা।

ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান দেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শ্রমিকনেত্রী মায়া বেগমসহ সারাদেশ থেকে আগত শ্রমিকরা নেতারা। সমাবেশে পাঁচ হাজার বিড়ি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা এমপি বলেন, বিড়ি একটি কুটির শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে ২০ লাখের বেশি শ্রমিক জড়িত। শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে এ শিল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিড়ির ওপর বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি সিগারেটকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিয়ে বিড়িকে ১০ বছর আগে বন্ধ করে সিগারেটের সাথে বিড়ি অসামঞ্জস্য নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এটা কখনও হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ধূমপান বন্ধ করতে হলে বিড়ি ও সিগারেট দুটিই বন্ধ করতে হবে। একটি চালু রেখে অপরটি বন্ধ থাকবে তা হতে পারে না। ১০ বছর বিদেশি কোম্পানিকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া উচিত নয়।

তিনি জাতীয় সংসদে বিড়ির ওপর বৈষম্যমূলক নীতি ও বিড়ি শ্রমিকের মজুরির বিষয়ে কথা বলবেন বলে সমাবেশে জানান। এছাড়াও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির জন্য তিনি বিড়ি মালিকদের অনুরোধ করেন।

ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙালি বলেন, দেশে ধূমপান থাকলে বিড়ি থাকবে। সিগারেটকে রেখে বিড়ি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর কর বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হলে ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকা অচল করে দেব। চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বিড়ির ওপর কর কমানোর জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করছি।

এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিড়ি শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি গরিবের নেত্রী। আমাদের বিশ্বাস আপনি ক্ষমতায় থাকতে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। আপনি আমাদের ২০ লাখ শ্রমিকের দিকে তাকিয়ে বিড়ির ওপর বর্ধিত কর প্রত্যাহার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *