যে কারনে সৌদি আরবে বার বার হামলা

সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিজান প্রদেশের প্রধান বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথি। ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সীমান্ত লাগোয়া সৌদির জিজান বিমানবন্দরের সামরিক হ্যাঙ্গারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইয়েমেনে চার বছর ধরে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট কিংবা সৌদি কর্তৃপক্ষ রোববারের এই হামলার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি।

২০১৪ সালে সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে দেশটির হুথি বিদ্রোহীরা। তারপর থেকেই দেশের বাইরে রয়েছেন তিনি। তাকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট।

গত দুই সপ্তাহ ধরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ-সহ দেশটির আরো কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে হুথিরা। গত সপ্তাহে পবিত্র নগরী মক্কা ও জেদ্দায় দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করে সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী। একই সপ্তাহে সৌদির নাজরান বিমানবন্দরে তিনবার হামলা চালানোর দাবি করে হুথি।

মক্কায় হামলার পরদিন সৌদি আরবের একটি তেল স্থাপনায় সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করে হুথি। ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী বলছে, তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩০০ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রাখবে।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি ঘেঁষা কয়েকটি দেশের সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দুটি তেল ট্যাঙ্কারে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা হওয়ার পর ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার পর সৌদিতে হুথি বিদ্রোহীদেরও হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র : হারেৎজ, রয়টার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *