প্রখ্যাত তিন ইসলামি চিন্তাবিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে সৌদি

পবিত্র রমজান মাসের শেষে প্রখ্যাত তিন ইসলামি স্কলারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। মডারেট চিন্তাভাবনার কারণে সুপরিচিত এই তিন সুন্নী ইসলামি স্কলারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার দেশটির সরকারি দু’টি সূত্র এবং অভিযুক্ত এক স্কলারের স্বজনের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি রয়েছে শেইখ সালমান আল-ওদাহ নামের এক স্কলারের।

শরীয়াহ আইন ও সমকামী ইস্যুতে তুলনামূলক প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত তিনি।২০১৭ সালের জুনে প্রতিবেশি কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব।

এই অবরোধ আরোপের তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে দেশ দুটির চলমান উত্তেজনা নিয়ে একটি টুইট করেন ওদাহ। টুইটে সৌদি আরব এবং কাতারের পুনর্মিলন কামনা করেন তিনি। এই টুইট করার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

একই সময়ে সুন্নী প্রচারক, অধ্যাপক ও লেখক আওয়াদ আল-কারনি এবং জনপ্রিয় প্রচারক আলী আল-ওমারিকে গ্রেফতার করা হয়।

দেশটির নেতৃস্থানীয় এই তিন ইসলামি প্রচারককে পবিত্র রমজান মাসের শেষে ফাঁসিতে ঝোলাতে যাচ্ছে সৌদি আরব। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে গত মাসে সৌদি আরবে প্রায় ৩৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়। জনসাধারণের কাছে সতর্ক বার্তা পাঠানোর লক্ষ্যে এদের মধ্যে দু’জনকে শিরশ্ছেদের পর ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। সৌদির এই গণশিরশ্ছেদকে ‘ভীতিকর’ এবং ‘ঘৃণ্য’ কাজ বলে নিন্দা জানায় জাতিসংঘ।

গত বছর অন্তত ১৪৮ জনের শিরশ্ছেদ করে সৌদি। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে ৪৭ জনের গণশিরশ্ছেদ করা হয়। এদের মধ্যে দেশটির সংখ্যালঘু শিয়া নেতা নিমর আল নিমরও ছিলেন। নিমরের শিরশ্ছেদের ঘটনার রিয়াদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় সৌদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *