বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা

বিজ্ঞানীরা একটি এলাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেখানকার ইতিহাসে কোনো মানুষের চিহ্ন নেই। কারণ সেখানে কোনো মানুষের পক্ষে বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। সেখানকার ডাইনোসরের কাছে মানুষ ছিল নিতান্তই ক্ষুদ্র প্রাণি।

জানা যায়, সেই এলাকাটি হচ্ছে সাহারা মরুভূমি। যা দক্ষিণ-পূর্ব মরক্কো হিসেবে পরিচিত। আজ থেকে ১০ কোটি বছর আগে সেখানে ডাইনোসরের বাস ছিল। বিজ্ঞানীরা মরক্কোর সাহারা মরুভূমির প্রাচীন পাথর থেকে ওই প্রাণির জীবাশ্ম সংগ্রহ করে। দীর্ঘদিন পর্যালোচনা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

গবেষণা থেকে জানা যায়, ভয়ঙ্কর এলাকাটি হিংস্র মাংসাশি ডাইনোসরের দখলে ছিল। এদের মধ্যে আবার উড়তে পারতো এমন ডাইনোসরও ছিল। জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, এদের মধ্যে অন্তত তিনটি বিশাল আকারের ডাইনোসর থাকতো। ফলে এখানে মানুষ টিকে থাকতে পারেনি।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, মরক্কো ও আলজেরিয়ার সীমান্ত এবং সাহারা মরুভূমির প্রান্তে ছিল ডাইনোসরের আতুরঘর। ১৯৯৬ সালে এখান থেকে প্রচুর জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়। এরপর নাম দেওয়া হয় ‘কেম কেম বেডস’। সে সময় সাহারা মরুভূমি শুষ্ক ছিল না। নদী, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ও প্রচুর জলজ প্রাণি ছিল।

জীবাশ্ম থেকে জানা যায়, তিন ধরনের বড় মাংসাশি ডাইনোসর এখানে বাস করত। কারক্যারোডন্টসরাস ডাইনোসরের উচ্চতা ছিল ৪০ ফুটেরও বেশি। ডেল্টাড্রমিয়াস নামক বড় র্যাপটরের পেছনের পা লম্বা এবং সরু ছিল। এদের পাশাপাশি কুমিরের মত দেখতে হিংস্র প্রাণি ও উড়ন্ত সরীসৃপ ছিল।

এখানে প্রচুর মাছও ছিল। ডাইনোসরের একাংশের খাদ্য ছিল মাছ। সে সময় এখানে বিশাল আকারের মাছ পাওয়া যেত। যেমন- সিলাকান্ত, লাঙফিস। এছাড়া এখানে এক ধরনের মাছ ছিল সে সময়। যার দাঁত ছিল ছুরিতে প্যাচানো কাঁটাতারের মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *