৮৫ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় বললেন রাইট

অবিশ্বাস্য! এমন ক্যারিয়ারও কারও হয়। যেখানে কোনো এক ক্রিকেটার বড় জোর ৪০-৪১ বছর বয়স পর্যন্ত ক্যারিয়ারকে টেনে নিতে পারেন, সেখানে ক্যারিবীয় পেসার সেসিল রাইট কি না খেললেন ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত।

শুধু তাই নয়, তার পরিসংখ্যান শুনলে যে কারও মাথ ঘুরে যাওয়ার জোগাড় হবে। সেসিল রাইটের নিজের দাবি, তিনি প্রায় ২০ লক্ষ ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন এবং পেশাদার ক্রিকেটে ৭ হাজারেরও বেশি উইকেট নিয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত বয়সের সেঞ্চুরি পূরণের ১৫ বছর আগে এসে থামার সিদ্ধান্ত নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিস্ময়কর পেসার।

ক্যরিবীয় কিংবদন্তি ওয়েস হল এবং স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স যখন ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে, তখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক সেসিল রাইটের। জ্যামাইকার হয়ে তিনি প্রথম ম্যাচে খেলেছেন সোবার্স এবং ওয়েস হলের দল বার্বেডোজের বিরুদ্ধে।

তবে ১৯৫৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান সেসিল। সেখানে সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে ক্রম্পটনের হয়ে পেশাদার ক্রিকেট শুরু করেন। বছর তিনেক পর এনিডকে ভবিষ্যতের সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার পর পাকাপাকিভাবে ইংল্যান্ডেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাইট। পরে তাদের একটি ছেলে সন্তানও জন্ম নেয়।

সাত ও আটের দশকে স্যর ভিভ রিচার্ডস এবং জোয়েল গার্নারের সঙ্গে খেলেছেন রাইট। ৬০ বছরের বেশি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৭০০০ -এর বেশি উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে। একই সেঙ্গ, অনন্য একটি রেকর্ডও রয়েছে রাইটের নামের পাশে। মাত্র পাঁচ মৌসুমে ৫৩৮টি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি। অর্থাৎ প্রতি ২৭ বল অন্তর একটি করে উইকেট নিয়েছেন সেসিল রাইট।

এমন বয়সে এভাবে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যে কারণে তার মানসিক এবং শারিরীক শক্তি ও স্ট্যামিনার দারুণ প্রশংসা করেছে ক্রিকেটের বাইবেল হিসেবে পরিচিত উইজডেন।

শেষ পর্যন্ত থামার সিদ্ধান্ত নিলেন ৮৫ বছরের এই ক্যারিবীয় বৃদ্ধ পেসার। দ্য ডেইলি মিররকে রাইট বলেন, ‘আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের কারণ আমি জানি; কিন্তু আমি তোমাদের তা বলব না।’ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিজের ফিটনেস প্রসঙ্গে রাইট বলেন, ‘আমার ফিটনেস রহস্য হচ্ছে, আমি সবকিছুই খাই। তবে খুব বেশি মদ্যপান করি না। অল্প একটু-আধটু বিয়ার খাই শুধু। নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিয়মিত ট্রেনিং করে গেছি। কোনও অজুহাতে ট্রেনিং মিস করেছি বলে মনে পড়ে না। বাড়িতে বসে টিভি দেখার চেয়ে হাঁটতে পছন্দ করি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *