৭৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা আম্বানির
ভারতকে নিরাপদ হাইড্রোজেন জ্বালানির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে সাড়ে ৭ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন মুকেশ আম্বানি। নিরাপদ জ্বালানিতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মনোযোগ বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ বিনিয়োগ আসছে। ব্লুমবার্গের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে লাইভ মিন্ট।
চলতি মাসের শুরুতে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিত্ব আম্বানি জানান, বিদ্যুৎ কারখানা, সোলার প্যানেল ও ইলেকট্রোলাইজারসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবেন তিনি। নিরাপদ জ্বালানি হাইড্রোজেনে মনোযোগ বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ বিনিয়োগ আসছে। পরবর্তী প্রজন্মের জ্বালানি হিসেবে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ দেখতে যাচ্ছে হাইড্রোজেন খাত।
দিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর এনার্জি ফাইন্যান্সের পরিচালক গগন সিধু বলেন, নিরাপদ হাইড্রোজেন জ্বালানি বাজারের পুরো ভ্যালু চেইনের নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নিচ্ছে রিলায়েন্স।
বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হাইড্রোজেনকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। ইস্পাত শিল্পের মতো ভারী শিল্পে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হাইড্রোজেন ব্যবহার হবে।
গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নিরাপদ জ্বালানির কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ। আদানি এন্টারপ্রাইজ ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি লিমিটেড এবং ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনও সবুজ হাইড্রোজেনে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
ব্লুমবার্গএনইএফের বরাতে জানা গেছে, হাইড্রোজেনে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করা দেশের সংখ্যা গত বছর ২৬-এ দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও চীনের মতো দেশের কৌশলপত্র এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নিরাপদ জ্বালানিতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে আম্বানি ও গৌতম আদানির মতো বিলিয়নেয়ারদের ওপর নির্ভর করছে ভারত।
প্রতি কেজি নিরাপদ হাইড্রোজেন তৈরিতে ব্যয় ১ ডলারে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে আম্বানি। এতে বর্তমানে যে ব্যয় হয় তার চেয়ে ৬০ শতাংশেরও বেশি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।