৬ মাসে রপ্তানি করা যাবে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল
এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আবারও সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত করলো সরকার। সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণে গঠিত ১১ সদস্যের নতুন কমিটি বছরে সর্বমোট ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।
এ বিষয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক সমিতি ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশনের (বাপা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চালের রপ্তানি কার্যক্রম ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করে কমিটি। তবে বাপা ১ বছর সময় নিয়ে ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানির দাবি করেছিল।
বাপা প্রতি কেজি চালের জন্য ১ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার দাম নির্ধারণের দাবি করলেও দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬০ ডলার।
সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুুমতি দেওয়ার সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চাল রপ্তানিকারকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগে আবেদন করে কোম্পানি অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার এবং অনুমোদনের সঙ্গ উল্লিখিত শর্তাবলী অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণে ১১ সদস্যের একটি নতুন কমিটি করা হয়।
দেশ থেকে প্রথম বছর ৬৬৩ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়। পরের বছরগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে উন্নীত হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে গড়ে সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয় ১৮-২০ লাখ টন। প্রতি বছর গড়ে রপ্তানি হয় ১০ হাজার টন। অর্থাৎ উৎপাদনের তুলনায় চালের রপ্তানির হিস্যা অনেক কম। যে কারণে চাল রপ্তানিতে খাদ্যনিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই বলে বারবার দাবি করছেন রপ্তানিকারকরা।