৬ দেশের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ২২ এপ্রিল চেকোস্লোভাকিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে শিগগিরই ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইইইউ) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে। রাশিয়াসহ ইউনিয়নের (রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন, আজারবাইজান ও আরমানিয়া) পাঁচটি দেশ রয়েছে।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ৩ ও ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) বাংলাদেশের ৫ম ট্রেড পলিসি রিভিউ (টিপিআর) সভার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বাণিজ্য টিপু মুনশি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চেকোস্লোভাকিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ২২ এপ্রিল এ চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সব আলাপ-আলোচনা শেষ হয়ে গেছে। শিগগিরই তাদের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

তিনি বলেন, আমরা ব্রাজিলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। কারণ ব্রাজিল ২৫ কোটি মানুষের দেশ। ওখানে তৈরি পোশাকের বাজারে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে সফলতা লাভের জন্য এবং এলডিসি (নিম্ন আয়ের দেশ) হতে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি সময়োপযোগী করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টের জন্য সরকার বিনিয়োগ বান্ধব নীতিগ্রহণ করেছে।

টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে আমরা নিম্ন মূল্যের পণ্য রফতানি করে থাকি। আগামী উচ্চমূল্যের পণ্য রফতানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ, ট্রেড পলিসি এবং সেক্টরাল পলিসিতে যে উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে সে বিষয়ে ডব্লিউটিও সেক্রেটারিয়েট এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পৃথক পৃথক দুটি রিপোর্ট প্রস্তুত করে ডব্লিউটিও সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে সদস্যভুক্ত ১৬৪টি দেশে পাঠানো হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, ১ বিলিয়ন রোহিঙ্গা রিফিউজিকে আশ্রয়দানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হবে- এ বিষয়ে সভায় আলোচিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে ডব্লিউটিও দেশভুক্ত দেশসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *