৬০ টাকার মরিচ হলো ৩০০, ১৫ দিনে

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনায় বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। ১৫ দিনের ব্যবধানে ৬০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। একই সঙ্গে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজির দামও। ভোক্তা অধিকারের অভিযানের মুখেও আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত দামে। তবে ডিমের দাম হালিতে ২ টাকা করে কমেছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) খুলনার গল্লামারী, নিরালা, মিস্ত্রি পাড়া ও রূপসা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, খুলনার বাজারে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে পাঁচ গুণ। ১৫ দিন আগে যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকলেও প্রতি বছর এ সময় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়।

বর্ষার অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ানো হয় জানিয়ে মিস্ত্রিপাড়া বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা রহমত আলী বলেন, এই সময় শুধু কাঁচা মরিচ নয় সবজির দামও বেড়ে যায়। অথচ এই সময়েই বাজারে শীতকালীন সবজির ছাড়া অন্যান্য সবজির সরবরাহও ভালো থাকে। তবুও দাম বেড়ে যায়। আগাম শীতকালীন সবজি আসলে তা বিক্রি হয় চড়া দামে।

বাজার করতে আসা ইয়াছির আরাফাত বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে এসে একদামে কোনো সবজি পাওয়া অনেক কষ্টকর। বাজারে যে সবজি আছে তার দাম সকালে এক রকম আবার বিকেলে আরেক রকম। আবার এই বাজারে ৪০ টাকা হলে অন্য বাজার তা হয়তো ৪৫ অথবা ৩৫ টাকা।

রূপসা বাজারের সাগর হাওলাদার নামের এক বিক্রেতা বলেন, নগরীর বাজারগুলোতে এখন সবজির অভাব নেই। তবুও এখন একটু দাম বেশি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায়, পটল ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়, কুচ ৬০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাগজি লেবু হালি ৩০ টাকা এবং যেকোনো প্রকার শাকের আঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রেতারা যখন যে দামে পাইকারদের কাছ থেকে কিনে আনি, তখন সেই রকম দাম ধরে বিক্রি করি। এখনও পাইকারি বাজারে আগের দামেই আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আমাদের সেই দামেই কিনতে হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। আকারভেদে ৪৪ টাকা থেকে শুরু হয়েছে এক হালি ডিমের দাম, যা ৪৮ টাকা পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

পণ্যর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের খুলনা উপ পরিচালক মো. সেলিম বলেন, শুধু আলু-পেঁয়াজ নয়, আমরা অন্য সব পণ্যের বিষয়েও অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কোথাও বেশি দামে পণ্য বিক্রির খবর পেলেই সেখানে ছুটে যাচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে জরিমানাও করছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *