৫০টি নতুন ডিজিটাল ফিচার নিয়ে আসবে জিএম
গাড়িতে নতুন নতুন ফিচার আনার খবর নতুন নয়। ভোক্তাদের মনোযোগ টানতে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটাচ্ছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার নন-ভেহিকল রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে জেনারেল মোটরস (জিএম)। ২০২৬ সালের মধ্যে কয়েক ডজন নতুন ফি-ভিত্তিক ডিজিটাল পরিষেবা ফিচার নিয়ে আসবে মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে অনলাইন কেনাকাটার মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করছে জিএম। এর মধ্যে একটি ফিচার গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে আগেই পূর্বাভাস দেবে।
জিএমের একজন শীর্ষ নির্বাহী জানিয়েছেন, আমাদের কাছে ৫০টির মতো মূল্যসংযোজন পণ্য ও পরিষেবা রয়েছে। আগামী ৩৬-৪৮ মাসের মধ্যে আমরা এগুলো ভোক্তাদের সামনে আনতে চাই।
সংস্থাটির উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট স্টিভ কার্লাইল একটি বিনিয়োগ সম্মেলনে বলেন, জিএমের অনস্টার ইউনিট বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ পরিষেবা ছাড়াও বীমা প্রদান করে। গ্রাহকপ্রতি এটির ব্যয় মাসে প্রায় ৩২ ডলার। উন্নত সুপার ক্রুজ ড্রাইভার সহায়তা ফিচার এটিকে আরো শক্তিশালী করবে।
গাড়ির সাবস্ক্রিপশনসহ নতুন ডিজিটাল পরিষেবাগুলো জিএমের আলটিফি সফটওয়্যার ও সংযোগ প্লাটফর্মের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। আলটিফি কোনো ধরনের তারের সংযোগ ছাড়াই সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে পারবে এবং গাড়িচালক ও যাত্রীদের অনলাইন কেনাকাটার মতো কাজগুলোয় সহায়তা করবে।
স্টিভ কার্লাইল বলেন, কিছু ডিজিটাল ফিচার বৃহত্তর ডিসপ্লেগুলোর সুবিধা নেয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো জিএমসি হ্যামার ইভি, শেভ্রোলেট সিলভেরাডো ইভি, ক্যাডিল্যাক লিরিক এবং আগামীতে আসতে যাওয়া বিদ্যুচ্চালিত যানগুলোয় (ইভি) পাওয়া যাবে। আমাদের ইভিতে বড় স্ক্রিনগুলো ভোক্তাদের কাছে আরো ডাটাভিত্তিক সফটওয়্যার পরিষেবা আনতে সক্ষম করবে। ডিজিটাল এ পরিষেবাগুলোর জন্য জিএম মাসিক, বার্ষিক ও আজীবন সাবস্ক্রিপশনসহ বিভিন্ন বিকল্প সরবরাহ করবে।
ডাটাচালিত পরিষেবা ও পণ্যগুলোর প্রবর্তন হলো সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মেরি বারার পরিকল্পনার অংশ। গত বছরের অক্টোবরে এ পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে জিএম বার্ষিক আয় দ্বিগুণ করে ২৮ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়।