৪১ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করল ইইউ
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় সয়াবিনের ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম চার মাস বা ১২০ দিনে (১ জুলাই-২৮ অক্টোবর) এসব দেশে কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত আমদানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়ে ৪০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার।
ইসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুমের ১ জুলাই থেকে ২৮ অক্টোবর সময়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ইইউভুক্ত ২৮ দেশে সব মিলিয়ে ৪১ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ বিপণন মৌসুমের প্রথম ১২০ দিনে ইইউভুক্ত দেশগুলো মোট ৩৯ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করেছিল। সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে এসব দেশে কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত আমদানি বেড়েছে দুই লাখ টন।
সয়াবিন উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে ১১তম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি বছর এসব দেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সয়াবিন আমদানি করে। কৃষিপণ্যটির আমদানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ইইউভুক্ত দেশগুলো সব মিলিয়ে ১ কোটি ৫৮ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
২০১৭ সালে ইইউভুক্ত দেশগুলো মোট ১ কোটি ৪১ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ। সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে এসব দেশে কৃষিপণ্যটির আমদানি বাড়তে পারে ১৭ লাখ টন। এর মধ্য দিয়ে মৌসুম শেষে ইইউর ইতিহাসে সয়াবিন আমদানির সর্বোচ্চ রেকর্ড হতে পারে।