৪০ মাইল দীর্ঘ বহরে কিয়েভমুখী রুশ সেনারা

স্টাফ রিপোর্টার

ইউক্রেনের একটি বন্দর নগরীতে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ট্যাংক ঢুকেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর আরেকটি শহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের দক্ষিণে বন্দর নগরী বার্দিয়ানস্কে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাশিয়ার ট্যাংক ঢুকতে দেখা গেছে। বার্দিয়ানস্কের এক বাসিন্দা বলেছেন, তাঁরা প্রায় ১৫টি ট্যাংক ঢুকতে দেখেছেন।

বার্দিনাস্কের প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে মারিওপোল। রাশিয়া মারিওপোলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তবে এখনো পতন হয়নি।
ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী খারসনে হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের দক্ষিণে মাইকোলেইভ ও নিউ কাকহোভকা শহরের মধ্যে খারসনের অবস্থান।

ইউক্রেনের স্টেট সার্ভিস ফর স্পেশাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রোটেকশন বলছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শত্রুরা বিমানবন্দর থেকে নিকোলেভ হাইওয়ের দিকে গেছে। সেখানে একটি হিমাগার রয়েছে। বিবিসির খবরে জানা যায়, খারসন বিমানবন্দরের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

খারসনের আঞ্চলিক প্রশাসন ফেসবুক পেজে বলেছে, পুরো শহর রাশিয়ার সেনাবাহিনী ঘিরে রেখেছে, তবে শহরটি এখনো দখল করেনি।

খারসনের মেয়র ইগোর কলিখায়ে ফেসবুকে বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি কীভাবে হবে, তা বলা কঠিন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। কারফিউ চলাকালে কাউকে বাইরে না যেতে ও শত্রুকে উত্তেজনায় উসকানি না দিতে আহ্বান জানান মেয়র।

রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলার মধ্যেই গতকাল ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসেছিলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ইউক্রেন হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেন, আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। তবে পরবর্তী আলোচনা কবে হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

গতকাল পঞ্চম দিনের মতো কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর বেলারুশের গোমেলে আলোচনায় বসেন দুই দেশের নেতারা, তবে কোনো সমাধান হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াকের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশের রাজধানীতে ফিরে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। তার ভিত্তিতে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *