৪০০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি অ্যাস্ট্রাজেনেকার

স্টাফ রিপোর্টার

২০২১ সালে বিপুল পরিমাণ আয়ের কথা জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। গত বছর ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি ৩ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে কেবল কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা থেকেই আয় এসেছে ৪০০ কোটি ডলার। খবর এপি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে কভিড-১৯ টিকা তৈরি করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। শুরুতে অলাভজনকভিত্তিতে বিক্রি করলেও গত বছরের শেষ দিকে টিকা বিক্রি থেকে মুনাফার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে আয় বাড়লেও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার করপূর্ব লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। এজন্য মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এলিক্সিয়ন অধিগ্রহণ এবং নতুন ওষুধ গবেষণাকে দায়ী করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির অধীনে প্রতি ডোজ প্রায় ২ থেকে ৩ ডলারে টিকা বিক্রি করছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে গত নভেম্বরে সংস্থাটি ‘সামান্য’ মুনাফা করার ঘোষণা দেয়। যদিও ফাইজার ও মডার্নার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো টিকা বিক্রি থেকে মোটা অংকের মুনাফা করছে। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির রাজস্ব প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৯৯০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল। সেসময় ১০০ কোটি ডলারের কভিডের টিকা বিক্রি এবং বিরল রোগের ব্যবসায়িক ইউনিট থেকে প্রায় ১৩০ কোটি ডলার আয়ের কারণে রেকর্ড ছুঁয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

চলতি বছর আয় আরো বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ব্রিটিশ-সুইডিশ প্রতিষ্ঠানটি। তবে কভিডের টিকা বিক্রি থেকে আয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সোরিওট বলেন, কভিড-১৯ টিকার বিস্তৃত ও ন্যায়সংগতভাবে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সে অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে আমরা ২৫০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছি।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রেখেছি। এ সময়ে শিল্প-নেতৃস্থানীয় গবেষণা ও উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা, পাঁচটি নতুন ওষুধ এবং এলিক্সিয়ন অধিগ্রহণের মতো কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।

ঘোষণা অনুযায়ী অ্যাস্ট্রাজেনেকা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ১০ সেন্ট বাড়িয়ে ২ ডলার ৯০ সেন্ট করবে, যা এক দশকের মধ্যে প্রথম বৃদ্ধি। এ খবরের পর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে সংস্থাটির শেয়ারদর ৩ শতাংশ বেড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *