৩০ হাজার কোটি ডলার এফডিআই আকর্ষণ সম্ভাবনা জিসিসির

স্টাফ রিপোর্টার

বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের কেন্দ্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে কাজে লাগালে ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই আকর্ষণ করতে পারে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ভুক্ত দেশগুলো। খবর দ্য ন্যাশনাল।

দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে গ্লোবাল ভ্যালু চেইন (জিভিসি)। শিল্পায়ন, কৌশল, স্থানিক সুবিধা ও বিদ্যমান অগ্রগতির ধারাকে ব্যবহার করে উপসাগরীয় অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আগামী অর্থনীতিতে। উপসাগরীয় দেশগুলো বিপুল নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস, ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং শিল্প ও পরিবহন কাঠামোয় প্রশংসনীয়। ফলে জিভিসি কেন্দ্র হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারা কঠিন নয়।

স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মিডল ইস্ট প্রতিষ্ঠানের অংশীদার ইয়াহিয়া আনুতি দাবি করেন, পৃথিবীর দেশগুলো তাদের শিল্প নিয়ে ভাবছে। ভাবছেন প্রযুক্তিতে প্রতিষ্ঠানের সৃজনশীলতা ও বিনিয়োগ নিয়ে। উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য বিষয়টি তাদের ভৌগোলিক অবস্থানই দিয়ে দেয়। পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামোগতভাবেই অঞ্চলটিকে গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের কেন্দ্রে পরিণত করবে।

উৎপাদনকে স্থানীয়করণ উপসাগরীয় দেশগুলোকে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে সংযুক্ত করবে। তৈরি করবে দেড় লাখ কর্মসংস্থান। তেলবহির্ভূত অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দাঁড়াবে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে। একই সঙ্গে ৭ কোটি ৫০ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাবে। সুযোগটি লুফে নিতে উপসাগরীয় দেশগুলোর সরকারকে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ তৈরি করতে হবে মেধাবী ও সৃজনশীলদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। বর্তমানে কয়েকটা দেশ বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তারা ব্যয় করছে শিক্ষা, গবেষণা ও সৃজনশীলতার খাতে। বিশ্বের প্রধান তেল রফতানিকারী প্রতিষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র উপসাগরীয় অঞ্চল। সম্প্রতি দেশগুলো তেলনির্ভর অর্থনীতি কাটিয়ে প্রযুক্তি ও পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত অপারেশন ৩০ হাজার কোটি পরিকল্পনা শুরু করে। পরিকল্পনা অনুসারে, ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটি কৌশলগতভাবে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত হবে। ১০ বছরের এ পরিকল্পনায় জিডিপিতে ২০৩১ সালের মধ্যে বাণিজ্য খাতের অবদান ৩০ হাজার কোটি দিরহামে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে গত অক্টোবরে বাণিজ্যিক উৎপাদনকে তিন গুণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব। ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশের রফতানি বাড়িয়ে দাঁড় করানো হবে ১৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *