২৬৮ কোটি টাকার শুকনা মরিচ আমদানি
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২৬৮ কোটি টাকার বেশি শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত অর্থবছরের তুলনায় এ সময় আমদানি কিছুটা কমেছে। ফলে বাজারে মসলা পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। এক-দেড় মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজির দাম ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৬৫৭ টন। যার আমদানি মূল্য ২৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৭৭ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ১৮৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রতিষ্ঠানে শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে। গত অর্থবছরের এ সময় সপ্তাহে ২২-২৫ ট্রাক পর্যন্ত আমদানি হলেও চলতি বছর তা কমে ১৫-১৬ ট্রাকে নেমেছে।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলার আড়ত মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে। এক-দেড় মাস আগেও যে শুকনা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩৫০-৩৬০ টাকা দরে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৩০-৪৪০ টাকা দরে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনে দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শুকনা মরিচ আমদানি থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।