২৪ দিনে এলো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

স্টাফ রিপোর্টার

ডলার সংকটের মধ্যেই চলতি মাস নভেম্বরের শুরুতে রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন দেখা যায়। মাসের প্রথম সপ্তাহে যেভাবে রেমিট্যান্স আসছিল তাতে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা ছিল সংশ্লিষ্টদের। তবে দিন যত যাচ্ছে রেমিট্যান্সের পরিমাণও কমে আসছে। এভাবে রেমিট্যান্স এলে এবারও দুই বিলিয়ন ডলারের নিচেই থেমে যাবে রেমিট্যান্সের গতি।

চলতি মাস নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে ১৪৯ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন গড়ে আসছে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ১৮৬ কোটি ডলার হবে। সবশেষ গত আগস্টে ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাস নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর সময়ের মধ্যে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিষেশায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারে ১১৫ টাকার বেশি নয়

রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২২ টাকার বেশি দর দেওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে আসার পরপরই জরুরি এক বৈঠকে বসে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা।

গত ৮ নভেম্বর যৌথ বৈঠকে নতুন সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠন দুটি। সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *