২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে আরএফএল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ২ টাকা ৩০ পয়সা করে পাবেন। এই লভ্যাংশের বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে শেয়ারহোল্ডাররা তাদের মতামত জানাতে পারবেন। এরই মধ্যে লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারী নির্বাচন করা হয়েছে।
লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারী নির্বাচনে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয় গত ১৭ নভেম্বর। ওইদিন অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল তারাই লভ্যাংশ পাবেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের ব্যবসায় রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৮১ পয়সা মুনাফা করে। এই মুনাফা থেকেই বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১ টাকা ১৪ পয়সা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৭৬ পয়সা। তিন মাস আগে অর্থাৎ জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৬১ পয়সা।
কোম্পানিটির লভ্যাংশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭ সাল থেকে প্রতিটি বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৩ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে প্রাণ, এজিএম বৃহস্পতিবার
নিয়মিত বড় লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার দামেও। বর্তমানে (২৭ ডিসেম্বর লেনদেন শেষে) কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৬৪ টাকা।
১৯৯৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা এক কোটি।
এই শেয়ারের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।