২৩ রুটে যাবে বিআরটিসির এসি বাস পদ্মা সেতু হয়ে
পদ্মা সেতু চালুর পরদিন থেকেই দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে নতুন-পুরনো ২৩ রুটে বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন-বিআরটিসি।
শুরুতে এসব রুটে ৬৫টি এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) বাস দেওয়া হবে, পরে চাহিদা অনুযায়ী নন-এসি বাসও বিআরটিসি নামাবে।
বর্তমানে ঢাকা থেকে ফেরি পারাপারের মাধ্যমে খুলনা এবং যশোর রুটে বিআরটিসির ১৮টি এসি বাস চলছে। এখন ঢাকা থেকে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, কুয়াটাকাসহ ২১ জেলায় বাস চালু করা হবে।
বিআরটিসি চাইছে, সেতু চালুর পর আগামী এক মাস বিভিন্ন রাস্তার পরিস্থিতি এবং যাত্রীদের মতামত বিবেচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী রুটগুলো সাজানো হবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নতুন রুট চূড়ান্ত করতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক সেরে নিয়েছেন।
সোমবারের ওই বৈঠকে পুরনো দুই রুটের পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত মোট ২৩টি রুটে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন থেকেই বাস নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, “আপাতত সবগুলো বাস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এসব বাসে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হবে। ২৬ তারিখ চলাচল শুরুর পর যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী রুটগুলো পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে।”
বিআরটিসির জেনারেল ম্যানেজার মোক্তারুজ্জামান জানান, ২৩টি রুটে ঢাকার বিভিন্ন ডিপো থেকে বাসগুলো পরিচালনা করা হবে। আর এসব রুটে ২০১৯ সালে ভারত থেকে আনা আশোক লেল্যান্ড বাসগুলো চলাচল করবে।
দক্ষিণের সব জেলায় পরিবহন সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বাস পরিচালনা শুরু করলে যাত্রীদের কেমন ডিমান্ড আছে তার একটা ফিডব্যাক পাব। যাত্রীদের চাহিদা থাকলে ওই রুটে নন এসি বাসও চালানোর চিন্তা আছে।”
যেসব রুটে চলবে বিআরটিসির বাস:
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে গোপালগঞ্জ, ফকিরহাট হয়ে খুলনা
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে ভাঙ্গা, গোলাপগঞ্জ, খুলনা, যশোর হয়ে বেনাপোল
ঢাকা (গুলিস্তান) ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, খুলনা হয়ে সাতক্ষীরা
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে টেকেরহাট, মোস্তফাপুর, গৌরনদী হয়ে বরিশাল
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে জাজিরা ভাঙ্গা হয়ে শরীয়তপুর
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে ভাঙ্গা, ভাটিয়াপাড়া, নড়াইল হয়ে যশোর
ঢাকা (মিরপুর-১২) থেকে ফুলবাড়িয়া, সায়েদাবাদ, ভাঙ্গা, টেকেরহাট, মোস্তফাপুর হয়ে গৌরনদী
ঢাকা (আবদুল্লাহপুর) থেকে শিবচর, টেকেরহাট, মোস্তফাপুর হয়ে মাদারীপুর
ঢাকা (আবদুল্লাহপুর) থেকে ভাঙ্গা, মোস্তফাপুর, গৌরনদী, আগৈলঝরা হয়ে পয়সারহাট
নরসিংদী থেকে গুলিস্তান, মাওয়া, শিবচর, মাদারীপুর হয়ে চরমুগুরিয়া
নরসিংদী থেকে গুলিস্তান, মাওয়া, মুকসুদপুর হয়ে কাশিয়ানি
ঢাকা থেকে জাজিরা হয়ে শরীয়তপুর
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, কাটাখালি, ফকিরহাট হয়ে খুলনা
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, ভাটিয়াপাড়া, কালনাঘাট, লোহাগড়া, নড়াইল হয়ে যশোর
ঢাকা ভাঙ্গা, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, নাজিরপুর হয়ে পিরোজপুর
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে শরীয়তপুর, ডামুড্যা বাইপাস হয়ে গোসাইরহাট
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে শরীয়তপুর, প্রেমতলী হয়ে মোল্লারহাট
ঢাকা (গুলিস্তান) থেকে যাত্রাবাড়ী, ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল
কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী, বরিশাল, ভাঙ্গা হয়ে যাত্রাবাড়ী
বাউফল থেকে বরিশাল, ভাঙ্গা হয়ে যাত্রাবাড়ী
ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল ভাঙ্গা হয়ে যাত্রাবাড়ী
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা
মোক্তারুজ্জামান জানান, সেতু চালু হলে কোন রুটে কতটি গাড়ি দরকার, সে বিষয়ে ধারণা পেতে অন্তত এক মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পরে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো হবে।