‘২০ ইয়ার্স অব সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার

দুই দশক তথা ২০ বছর ধরে মাল্টিন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটনে চাকরি করছেন আল-আমিন সরকার। প্রতিষ্ঠানটিতে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তার ২০ বছর পূর্ণ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভিন্ন আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয় তাকে। কোম্পানিতে তার ডেডিকেশন, প্যাশন, পরিশ্রম ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ। দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট ও সম্মাননা স্মারক।

জানা গেছে, পুরস্কৃত ওয়ালটন প্লাজার ওই কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তিনি ২০০২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর পদমর্যাদায় ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার (ঢাকা ডিভিশন) হিসেবে ওয়ালটনের প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ভুয়াপুরের বিরামদিতে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন প্লাজার এইচআরএম বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মী ৫ ও ১২ বছর কার্যকাল পূর্ণ করেছেন সেসব সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মী ২০ বছর পূর্ণ করেছেন তাদেরও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ওই সম্মাননা পেলেন আল-আমিন সরকার।

শনিবার রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ট্রেইনিং রুমে ওয়ালটন প্লাজা এইচআরএম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। আল-আমিন সরকারের হাতে সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জাকির, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদুজ্জামান তানভির, ওয়ালটন প্লাজা বিভাগের হেড অব এইচআরএম ফয়সাল ওয়াহিদ এবং সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর মাহমুদুল ইসলাম।

পুরস্কারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আল-আমিন সরকার। তিনি বলেন, ওয়ালটনের মতো একাটি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে ২০ বছর ধরে থাকা অবশ্যই আমার জন্য সৌভাগ্যের। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে এটা আবারও প্রমাণিত হলো, ওয়ালটন তার কর্মীদের সার্ভিসের মূল্যায়ন করে। জীবনের শেষ কর্মদিবসটিও ওয়ালটনের সঙ্গে কাটাতে চাই। এই আমার প্রত্যয়।

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আল-আমিন সরকারের মত সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। তাদের সম্মানিত করতে পেরে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ গর্বিত। ওয়ালটনের প্রতিটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কাজে একনিষ্ঠ ও দায়বদ্ধ থাকবেন। তাদের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় করে ওয়ালটনকে সমৃদ্ধ করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ওয়ালটন প্লাজায় ২০ বছর পূর্ণ করায় আল-আমিন সরকারকে অভিনন্দন জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ওয়ালটন প্লাজার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ইভা রিজওয়ানা নিলু। তিনি বলেন, ওয়ালটন প্লাজা তার নতুন-পুরাতন সব কর্মীকে মূল্যায়ন করে। এতে তারা দীর্ঘ সময় ধরে ওয়ালটন প্লাজায় কাজ করতে সুযোগ পান এবং অনুপ্রাণিত হন। সব প্রতিষ্ঠানের উচিত তার পুরাতন কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন ও গুরুত্ব প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জাকির এই উদ্যোগের জন্য এইচআরএম বিভাগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ওয়ালটন প্লাজার ধারাবাহিক উন্নয়নে এইচআরএম বিভাগের কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এইচআরএম বিভাগ সব সময়ই নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কর্মীদের অনুপ্রেরণা দেয়। ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তার প্রত্যাশা।

ওয়ালটন প্লাজা বিভাগের হেড অব এইচআরএম ফয়সাল ওয়াহিদ বলেন, আজকের সফল ও সমৃদ্ধ ওয়ালটন প্লাজা গড়ে তোলার পেছনে আল-আমিন সরকারের মত অনেক পুরাতন ও একনিষ্ঠ কর্মী অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্যের কারণেই ওয়ালটন প্লাজা এত দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। ওয়ালটন সবসময় তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ইতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করে। ‘২০ ইয়ার্স অব সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ তারই একটি অংশ মাত্র। ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা এর মধ্য দিয়ে ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা অনুপ্রাণিত হবেন।

সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর মাহমুদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ওয়ালটনে সুষ্ঠু কর্ম-পরিবেশ থাকায় মেধাবী ও পরিশ্রমী কর্মীরা এত দীর্ঘসময় পর্যন্ত ওয়ালটনে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্কের ভিত্তিতে সাফল্যের মুখ দেখে একটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কর্মজীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারেন একজন কর্মী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *