১ কোটি ৬২ লাখ টন জ্বালানি তেল উত্তোলন চীনে
যত দিন যাচ্ছে, চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যবহার ততই বাড়ছে। বাড়তি চাহিদার চাপ সামলাতে আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি নিজস্ব কূপগুলো থেকে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছে বেইজিং।
এর জের ধরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির আমদানিতে ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। চীনের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশনের (এনডিআরসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া ও অয়েলপ্রাইসডটকম।
দেশটির সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে চীনের নিজস্ব কূপগুলো থেকে মোট ১ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
এ সময় দেশটিতে মোট ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টন জ্বালানি তেল পরিশোধন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিআরসি। ২০১৮ সালের জানুয়ারির তুলনায় এ সময় চীনে জ্বালানি তেলের পরিশোধন ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় তিয়ানজিন শহরের খনিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেল তেলের (পাথুরে ভূমি থেকে উত্তোলন হওয়া তুলনামূলক ভারী জ্বালানি তেল) মজুদ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (সিএনপিসি) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিয়ানজিয়ানের দুটি খনিতে শেল তেলের বিপুল মজুদের সন্ধান মিলেছে। তবে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণের এ অঞ্চলে ঠিক কী পরিমাণ শেল তেলের মজুদ রয়েছে, তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে উত্তোলন তুলনামূলক সীমিত হওয়ায় আমদানি করা জ্বালানি তেলের ওপর চীনকে নির্ভর করতে হয়। চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চীনা আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৪ কোটি ২৬ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এ সময় দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৬০ শতাংশ জ্বালানি তেল আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে।