১ কোটি টন চাল রফতানি করবে থাইল্যান্ড

চলতি বছর শেষে থাইল্যান্ডে চালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর জের ধরে বছর শেষে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানিতেও চাঙ্গাভাব ফিরে আসতে পারে। গত বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে ২০১৮ সাল শেষে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল রফতানি তিন লাখ টন বাড়তে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও ব্যাংকক পোস্ট।

চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় থাইল্যান্ডের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল রফতানি হয়। খাদ্যপণ্যটির রফতানিকারকদের তালিকায় থাইল্যান্ডের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি হয়েছিল। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় দেশটি থেকে মোট ১ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল।

২০১৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার টনে। তবে পরের দুই বছর দেশটির চাল রফতানিতে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে আগের তুলনায় বেড়ে যথাক্রমে ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ও ১ কোটি ৯ লাখ টনের সামান্য কম চাল রফতানি হয়েছিল।

২০১৭ সালে এসে দেশটির চাল রফতানিতে ফের মন্দাভাব দেখা দেয়। এ সময় থাইল্যান্ড থেকে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। ইউএসডিএর সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮ সাল শেষে থাইল্যান্ড থেকে আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টন চাল রফতানি হতে পারে। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাড়তে পারে তিন লাখ টন।

রফতানি খাতে সম্ভাব্য এ প্রবৃদ্ধির পেছনে থাইল্যান্ডের চাল উৎপাদনে ধারাবাহিক চাঙ্গাভাবকে চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকরা। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডে মোট ১ কোটি ৫৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছিল। পরের বছর দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৯২ লাখ টনে।

২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টন চাল উৎপাদন হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০১৮ সাল শেষে দেশটিতে চাল উৎপাদন আরো ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ১২ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *