১৮ লাখ টন তেল আমদানি করবে ছয় মাসে সরকার
চলতি বছরের শেষ ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ১৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকায় ১৮ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদান করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার বার্ষিক চাহিদা পুরণে প্রতি বছর যে জ্বালানি তেল আমদানি করে, তার অর্ধেকটা আসে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে। বাকিটা স্পট মার্কেটের বিভিন্ন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের কাছ থেকে কেনা হয়।
সচিব জানান, জিটুজি মেয়াদি চুক্তির আওতায় জুলাই থেকে ডিসেম্বরে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ওমান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে ১৮ লাখ টন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে আনুমানিক ১৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। গত ২৮ জুনের রেফারেন্স প্রাইস বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন জ্বালানির প্রিমিয়াম ঠিক করা হয়েছে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতি টন ডিজেলের প্রিমিয়াম ৮ দশমিক ৮০ ডলার, জেটফুয়েল ১০ দশমিক ৮৮ ডলার, ফার্নেস অয়েল ৪৬ দশমিক ৭২ ডলার, অকটেন ৯ দশমিক ৮৮ ডলার এবং মেরিন ফুয়েল ৭৬ দশমিক ৮৮ ডলার।
আরেক প্রস্তাবে জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি ব্যারেলে ৫ দশমিক ৫০ ডলার প্রিমিয়াম এবং গত ২৮ জুনের রেফারেন্স মূল্য বিবেচনায় এই তেল কিনতে মোট খরচ হবে ২৭৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে এ তেল আসবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ইউনিট প্রতি এক ডলার কম দামে এক কার্গো এলএনজি আমাদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৫৮৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস এই এলএনজি সরবরাহ করবে। এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের (এমএমবিটিউ) দাম পড়ছে ১২ দশমিক ৫৮ ডালার। আগের সপ্তাহে প্রতি ইউনিট ১৩ দশমিক ৫৫ ডলার করে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কানাডা থেকে পৃথক দুটি লটে প্রায় ২৬০ কোটি টাকায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।